স্বাধীনোত্তর বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছিলেন ডা. বিধানচন্দ্র রায় (D. Bidhan Ch. Roy)। তাঁর বিধানসভায় প্রদত্ত বক্তৃতার সংকলন দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার খোরাক হয়েছে। এবার সেই ধারাবাহিকতায় নাম উঠতে চলেছে রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। ২০১১ থেকে শুরু করে টানা তিনবার মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি একাধিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রকল্পের সূচনা করেন, যার প্রতিফলন দেখা যায় তাঁর বিধানসভা ভাষণে। সেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের একটি দলিল এখন তৈরি হচ্ছে বই আকারে।
বিধানসভার গ্রন্থাগার কমিটির উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তৃতা সংকলনের কাজ ইতিমধ্যেই বেশ এগিয়ে গিয়েছে। প্রস্তুত হয়েছে খসড়া। অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, তাঁর সম্মতি পেলেই তা মুদ্রণের জন্য পাঠানো হবে প্রকাশনায়।
ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Ashish Banerjee) কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী নন, তিনি এক নতুন রাজনৈতিক দর্শনের বাহক। তাঁর বক্তৃতা রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রে মূল্যবান তথ্যভাণ্ডার হয়ে উঠবে।”
এই সংকলনে থাকবে ‘কন্যাশ্রী’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ সহ নানা জনমুখী প্রকল্পের সূচনা ও প্রয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্লেষণাত্মক ভাষণ। রাজ্যের প্রশাসনিক রূপান্তরের নেপথ্যের ভাবনা এবং কার্যকর কৌশল নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা গবেষকদের কাছে হয়ে উঠতে পারে দিকনির্দেশক।
এই বই শুধু মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার সংকলন নয়, বরং তার মধ্যে দিয়ে ধরা পড়বে এক দশকেরও বেশি সময়জুড়ে রাজ্যের পরিবর্তনের ধারা। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই বই প্রকাশিত হলে তা একদিকে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গৃহীত উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের লিখিত নথি, আবার অন্যদিকে বিরোধীদের প্রশ্নেরও প্রেক্ষাপট তৈরি করবে। কারণ, আইনসভায় উপস্থাপিত তথ্যের সত্যতা অস্বীকার করা কঠিন।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: পুলওয়ামা-পহেলগাঁও : ‘রক্তের উপর রাজনীতি নয়’, বিধানসভায় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর