আগামী বছর তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন, আর এই হাই-ভোল্টেজ লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah Tamil Nadu)। তাঁর লক্ষ্য, বাংলার মতোই তামিলনাড়ুকেও প্রথমবারের জন্য পদ্মশিবিরের দখলে আনা।

তামিলনাড়ুতে বিজেপির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ‘হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া’র অভিযোগ। মাদুরাইয়ে শাহ এই স্পর্শকাতর ইস্যুতে কৌশলী চাল খেললেন। তামিলভাষাকে ‘দেশের সবচেয়ে মহান ভাষা’ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, “তামিলনাড়ুতে আমি আমার সব দলীয় কর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কারণ আমি তাঁদের সঙ্গে ভারতের সবচেয়ে মহান ভাষা তামিলে কথা বলতে পারি না।” এই উক্তি একদিকে ভাষার প্রতি সম্মান, অন্যদিকে ‘হিন্দি আগ্রাসন’-এর অভিযোগ প্রশমিত করার চেষ্টা।

ভাষার আবেগকে উসকে দিয়েই শাহ সরাসরি নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনকে। তিনি বলেন, “আমি নয়, তামিলনাড়ুর মানুষরাই আপনাকে, আপনার দলকে হারাবে। ২০২৬ সালে তামিলনাড়ুতে বিজেপি-এআইএডিএমকে-র সরকার গঠিত হবে।” এই মন্তব্যে স্থানীয় মানুষের ওপর ভরসা এবং ক্ষমতা দখলের দৃঢ় অঙ্গীকার স্পষ্ট।

লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল না পেলেও, বিজেপি ও এআইএডিএমকে আবারও জোট বেঁধেছে। কর্ণাটক ছাড়া দক্ষিণ ভারতে বিজেপির সরকার নেই। তাই, তামিলনাড়ুর মতো শক্তিশালী রাজ্যে জিততে মরিয়া বিজেপি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই তামিলনাড়ুতে এমকে স্ট্যালিনের কাছে বারবার আটকে যাচ্ছে পদ্মশিবির। বিজেপির ‘মিশন ২৬’-এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো এই দুই শক্তিশালী আঞ্চলিক নেতাকে পরাস্ত করে দক্ষিণ ভারতে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করা। অমিত শাহের (Amit Shah Tamil Nadu) মাদুরাই সফর সেই দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যেরই এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

এখন প্রশ্ন হলো তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে কি এবার নতুন ইতিহাস রচিত হবে? অমিত শাহের এই রণনীতি কি দক্ষিণ ভারতে বিজেপির দরজা খুলতে পারবে?

 

আরো দেখুন:Newton Das:বাংলাদেশের আন্দোলনে ভারতীয় ভোটার!তৃণমূলের বিরুদ্ধে নতুন দুর্নীতির অভিযোগ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *