বিধাননগর পৌরনিগম ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা সিরাজুল হকের তত্বাবধানে,নিউটাউন ফুটবল লিগ ২০২৪ এর ”D” গ্রুপের শেষ খেলা অনুষ্ঠিত হলো হাতিয়াড়া মেঠোপাড়া ময়দানে।শেষ পর্যায়ের খেলার দিন অন্য মেজাজে দেখা গেলো পৌরপিতা সিরাজুল হককে।
খুব শীঘ্রই পৌরপিতা সিরাজুল হকের নেতৃত্বে নবরূপে সুসজ্জিত হয়ে উঠবে হাতিয়াড়া মেঠোপাড়া ময়দান। ইতিমধ্যে ১৮ লক্ষ ২১ হাজার টাকা sanction হয়ে গেছে। জানা গিয়েছে আর কিছুদিনের মধ্যেই এই মাঠটিতে শুরু হতে চলেছে ঘাস লাগানোর কাজ। এবং এই মাঠে বসবে পাম্প।নবরূপে সেজে ওঠার আগে,এবছর প্রথম রাজারহাট নিউটাউনের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য আফতাব উদ্দিনের উদ্যোগে শুরু হওয়া নিউটাউন ফুটবল লিগ ২০২৪ এর d গ্রুপের খেলা অনুষ্ঠিত হয় এই মাঠে। বুধবার ছিল d গ্রুপের শেষ পর্যায়ের খেলা।আর শেষ পর্যায়ের খেলার দিন আলাদা মেজাজে দেখা যায় পৌরপিতা সিরাজুল হককে।কখনও প্রতিযোগীদের মধ্যে উৎসাহ বাড়াতে, মনোবল বাড়াতে মাঠে নেমে তাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।তো কখনও ফুটবল নিয়ে খেলা শুরু করে দেন তিনি।এছাড়া বিশিষ্ট অতিথি এবং দর্শকদের মধ্যেও,এদিন একটা আলাদা উন্মাদনা লক্ষ করা যায়।
এদিন প্রথমে আটঘরা প্যারাডাইস ক্লাব এবং হাতিয়াড়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়।যেইখানে আটঘরা প্যারাডাইস ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে জয় লাভ করে হাতিয়াড়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।এবং এই দলের ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন আকাশ।
হাতিয়াড়া মেঠোপাড়া ময়দানে,হাতিয়াড়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের জয়লাভ একটা বিরাট বড় প্রাপ্তি ছিল বিধাননগর পৌরনিগম ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সকলের কাছে।আর তাই হাতিয়াড়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের জয়লাভের পরই আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন এদিন পৌরপিতা সিরাজুল হক।
অন্যদিকে,এরপরই নিউটাউন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং নিউটাউন ট্রাফিক গার্ডের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়।যেইখানে নিউটাউন ট্রাফিক গার্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে জয় লাভ করে নিউটাউন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।এবং এই দলের ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন আকাশ।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন,- রাজারহাট নিউটাউনের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য আফতাব উদ্দিন,৪ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা তথা ১ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান শাহনওয়াজ আলী মন্ডল,ইকোপার্ক থানার আইসি সৈকত ব্যানার্জি,বিধাননগর পৌরনিগম ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা সিরাজুল হক,বিশিষ্ট সমাজসেবী নিজাম উদ্দিন,হাতিয়াড়া সম্মিলতি সংঘের সম্পাদক সুরাবউদ্দিন মোল্লা সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
অর্থাৎ বলাবাহুল্য,ফুটবল বাঙালির কাছে আবেগ,আর সেই আবেগ টানা ১১ দিন ধরে চলল রাজারহাটের বুকে।অবশ্যই এরফলে আগামীদিনে,অনেক উচ্চমানের খেলোয়াড় যে রাজারহাটের বুক থেকে সম্প্রসারিত হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরো দেখুন:Shabana Azmi: জাভেদ আখতারের কোন বিষয়টি অপছন্দের ছিল শাবানার?