নৈহাটির শ্যামাপুজোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ অরবিন্দ রোডের বড়মা কালী। এবছর বড়মার পুজো একশো বছরে পদার্পন করেছে। দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছে বড়মার সুখ্যাতি। নৈহাটি স্টেশনে নেমে অরবিন্দ রোড ধরে ফেরি ঘাটের দিকে যেতেই চোখে পড়বে বড়মার মন্দির। নবনির্মিত মন্দিরে দু’দিন আগে কষ্টি পাথরের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। আর নতুন মন্দিরের দ্বারঘাটন হলো আজ । ২১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট নৈহাটির বড়মার মূর্তি অন্যান্য কালী প্রতিমার চেয়ে উচ্চতায় অনেক বেশি হওয়ায় জনমানসে বড়মা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। শক্তিদেবী রূপে এখানে অত্যন্ত জাগ্রত বড়মা।

প্রতিমা ঘন কৃষ্ণবর্ণ এবং সর্বালঙ্কারে ভুষিতা। চিরাচরিত রীতি মেনেই শনিবার কোজাগরী পূর্ণিমায় বড় কালীর কাঠামো পুজো করা হয়। তারপর সেই কাঠামোর ওপর মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হয়। আজ সমস্ত নিয়ম নিষ্ঠা মেনে নতুন মন্দিরের দ্বারঘাটন করা হয়। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক তাপস রায় সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।

নদীয়া জুটমিলের কর্মী তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী ভবেশ চক্রবর্তী এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন। কালী পুজোর সময় চার দিন দেবীর বিশেষ পুজো করা হয়। প্রত্যেক দিন আলাদা আলাদা করে বড়মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। তবে সমস্ত সোনার গয়না খুলে ফুলের গয়নায় সাজিয়ে প্রতিমাকে গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়। যার স্বাক্ষী থাকতে দুর দুরন্ত থেকে অগণিত ভক্তের ভিড়ের ঢল নামে গঙ্গার ঘাট জুড়ে। এই বছর ১০০ বছর উপলক্ষে ধুমধাম আকারে আরো জাকজমকতার সাথে পুজোর আড়ম্বরে মত্ত ভক্তেরা।

 

আরো দেখুন:Bank Holiday:নভেম্বর মাসে দেশে মোট ১৫ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক!কবে কোন রাজ্যে বন্ধ ব্যাঙ্ক?আজকের প্রতিবেদনে জানুন সম্পূর্ন তালিকা