চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে এসেছিলেন যুবতী! আর সেই সময় তাকে একা পেয়ে এ কি কাণ্ড ঘটালেন পাড়ার এক হাতুড়ে ডাক্তার! কি হয়েছিল যুবতীর সাথে?

হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে জ্বরের চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন এক যুবতী। আর সেই সুযোগ নিয়ে ওই যুবতীকে শারীরিক নির্যাতনের চেষ্টা করলেন পাড়ার সুপরিচিত ডাক্তার সুব্রত সরকার। শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগণা জেলার গাইঘাটা থানার অন্তর্গত একটি এলাকায় ঘটে এই ঘটনাটি। ঘটনার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী।

জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরে ওই যুবতী ও তার পরিবারের লোকেরা সুব্রত সরকার নামক ওই চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাতেন। শনিবার সন্ধ্যায় টিউশনি করে বাড়ি ফেরার পথে জ্বর বেশি থাকায় চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন ওই যুবতী। সে সময় চেম্বারে কেউ ছিল না। অভিযোগ, ওষুধ নিয়ে বেরোনোর সময় হঠাৎ অভিযুক্ত তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে এবং যুবতী তাকে ছাড়িয়ে বেরোতে গেলে তাকে জোর জবরদস্তি করতে থাকে ওই চিকিৎসক। এরপর ওই যুবতী কোনভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়।

এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সুব্রত সরকার তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তবে রাজনীতির পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকেই এলাকায় হাতুড়ে ডাক্তারিও করে আসছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। এরপরই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, এই ডাক্তার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তবে, দোষীর কড়া শাস্তির দাবি করেছে নির্যাতিতার পরিবার। সেই সাথে একজন চিকিৎসক হয়ে এরকম ঘটনা কিভাবে ঘটায় সেই নিয়েও সমালোচনায় সরব হয়েছে প্রত্যেকেই।

 

আরো দেখুন:Arjun Kapoor: ইনস্টাগ্রামে প্রিয় পোষ্য ম্যাক্সিমাসের মৃত্যুর খবর শেয়ার করলেন অর্জুন