স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) টালবাহানা চলছে বহুদিন ধরেই। আদালতের সামনে ‘ভুল’ স্বীকার করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)৷ তাদের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল শুক্রবার আদালতের সামনে তা স্বীকার করে নিল এসএসসি। এর পরেই অবিলম্বে পরীক্ষার্থীদের ১ নম্বর সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা৷ পাশাপাশি বলেন, প্রার্থীরা যাতে প্রাপ্ত নম্বর পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করবেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান।
২০১৬ সালের এসএলএসটি পরীক্ষার ভিত্তিতে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাসের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) মাধ্যমে এসএলএসটি নেওয়া হয় পরীক্ষাও৷ ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর পরীক্ষা হয়৷ ফল প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে। এর পরেই ইতিহাসের মডেল উত্তরও প্রকাশিত হয়৷ তাতে দেখা যায় একটি প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে। ফলে যাঁরা ওই প্রশ্নের সঠিক উত্তর লিখেছিলেন তাঁদের ১ নম্বর কাটা যায়৷ ভুল স্বীকার করে পরে একটি রিভাইসড উওরপত্র প্রকাশ করে কমিশন। যদিও বিষয়টি তখন সকলের নজরে আসেনি৷ ২০২১ সালে চাকরিপ্রার্থীরা জানতে পারেন, সঠিক উত্তর দিয়েও শুধুমাত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভুলের জন্য তাঁরা এক নম্বর পাননি৷ এর পরেই চাকরিপ্রার্থীর হন হাইকোর্টের৷
চলতি বছরে মামলাকারীর পক্ষ থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ তাঁদের দাবি স্কুল সার্ভিস কমিশন তাঁদের ১ নম্বর দিলে তাঁরা মেধাতালিকায় নথিভুক্ত হবেন এবং নিয়োগপত্র পেতে পারেন। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন তাঁদের আবেদন গ্রাহ্য করেনি৷ এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন ওই প্রার্থীরা।
অবশেষে, দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) সেক্রেটারি কে নির্দেশ দেন উত্তর পত্র যাচাই করে মামলাকারীদের জানাতে হবে এবং যদি মামলাকারীদের এক নম্বর বাড়ে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।