মালগাড়ি, করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস। এত বড় দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটল কী করে? দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে মুখ খুললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা গেছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।

প্রাথমিকভাবে রেলের তরফে দাবি করা হয়, শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সঙ্গে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের পাশাপাশি ধাক্কা লেগেছে। তাতেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কিছু কামরা লাইনচ্যুতলাইনচ্যুত (Train Accident) হয়ে পাশের লুপ লাইনে দাঁড়ানো মালগাড়ির দিকে হেলে পড়ে।

বস্তুত ইন্টারলকিং বা পয়েন্টারের গোলযোগের কথা শনিবার অবধি স্বীকার করেনি রেল। কিন্তু রবিবার সকালে রেলমন্ত্রী জানান,”রেলওয়ে সুরক্ষা কমিশন এ নিয়ে তদন্ত করছে। তদন্ত রিপোর্ট আসুক। কিন্তু আমরা দুর্ঘটনার কারণ আর কারা এর জন্য দায়ী জানতে পেরেছি।”

রেলমন্ত্রী বলেন,”এটা ঘটেছে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের পরিবর্তনের জন্য। আপাতত লাইন সারাইটাই আমাদের ফোকাস।”

সম্ভবত চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস যে লাইন দিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তার পাশেই লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল মালগাড়ি। কোনওভাবে পয়েন্টার বা সিগন্যালিংয়ের গণ্ডগোলের ফলে লুপ লাইনে চলে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস।

চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল মেইন লাইনের দিকে, আর ইন্টারলকিংয়ের পয়েন্টার ছিল লুপ লাইনের দিকে। সেটা রেলমন্ত্রীর ব্যাখ্যায় স্পষ্ট।

২০১৯ সালে সংসদীয় কমিটির সেই সতর্কবার্তা কেন্দ্র মেনে নিলে বালেশ্বরের দুর্ঘটনা এড়ানো যেত কিনা, সেটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যে অনেকটা কমে যেত, তাতে সংশয় নয়।