হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালক আর রোগীর আত্মীয়দের বিবাদে প্রাণ গেল ৪২ বছরের মহিলার। সোমবার সালার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অসুস্থ মাকে নিয়ে যান মাধাইপুরের বাসিন্দা সাকিব আলি। রোগীকে পরীক্ষা করে চিকিত্সক তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তকরনের কথা বলেন।
তাতেই গণ্ডগোল শুরু হয়। সাকিব আলি তাঁর পরিচিত অ্যাম্বুল্যান্স ডাকলে বেঁকে বসেন হাসপাতালে থাকা অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা। তাঁদের গাড়ি ব্যবহার করতে হবে বলে জানান তাঁরা।
এই বচসার জেরে দীর্ঘক্ষণ অ্যাম্বুল্যান্স আটকে পড়ে। রোগীর পরিজনদের মারধোর করা হয়। রোগীর পরিবারের দাবি, হাসপাতাল চত্বরেই সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) বের করে যখন হাসপাতালের বাইরে যাওয়া হয় সেখানেও গিয়ে ঝামেলা করেন সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা।
ঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে না যেতে পারায় প্রাণ যায় রোগীর। অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা পলাতক। ইতিমধ্যেই পুলিশ তাঁদের সন্ধান চালাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “সালারের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। মানুষকে সুষ্ঠু পরিষেবা দিতে অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা নিজেদের মতো করে একটা নিয়ম করতেই পারেন কিন্তু তাই বলে কেউ বাইরে থেকে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে এলে এভাবে বিলম্বিত করা এবং পরবর্তীতে রোগী মৃত্যু এটা নিঃসন্দেহে খারাপ ঘটনা।”