শুক্রবার ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui) বারুইপুর আদালতে পেশ করল পুলিশ।তবে এদিন বারুইপুর আদালতে ঢোকার মুখে নওশাদ বলেন, ”শাসকদলের ভোট ব্যাঙ্ক নষ্ট হচ্ছে তাই এই গ্রেফতারি। তবে গরিব মানুষের এই লড়াই চলবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে হারের ভয়ে আটকে রাখার চেষ্টা চলছে।” ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ এও দাবি করেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

সূত্রের খবর,ভাঙড়ে অশান্তি মামলায় বিধায়ক নওশাদকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে শুক্রবার পুলিশের তরফ থেকে আদালতে আবেদন জানানো হবে।

প্রসঙ্গত গত ১ তারিখে নওশাদ সিদ্দিকির মামলায় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট- এ সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছিলেন, যার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই, তাকে আটকে রাখা অসাংবিধানিক। যে মহিলা আইএসএফ এর সমর্থক বন্দি আছেন তাঁকে অত্যাচার করা হয়েছে ১১ দিন ধরে। মহিলার নাম – আসমা খাতুন। অপরদিকে সরকারি পক্ষের আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন, সরকারি সম্পতি ধ্বংস করা হয়েছে। একাধিক পুলিশ আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য,গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের কর্মসূচিতে পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে জেল হেফাজতে রয়েছেন নওশাদ। ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলে থাকবেন তিনি। ২১ জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। সে কারণেই কলকাতায় কর্মসূচি ছিল তাদের। রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তুলে নওশাদের নেতৃত্বে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয় কলকাতার রাজপথে।এর পরেই নওশাদ-সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন নাবালকও ছিল। তাকে জুভেনাইল কোর্টে হাজির করানো হয়। ওই দিনই তার জামিন হয়ে যায়। বাকি ১৮ জনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে তাঁদের জেল হেফাজত হয়। ভাঙড়ের ঘটনায় শুক্রবার নওশাদকে বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হয়।

 

আরো পড়ুন:Recipe বাড়িতেই বানিয়ে নিন সুস্বাদু মেথি মালাই চিকেন