দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) তিনদিন ধরে সিবিআই নিয়ে একটানা মন্তব্য করে গেছেন। আর সেইকারনেই সোজাসুজি প্রশ্ন উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ সংস্থা নিয়ে।
সেই কারনেই তাকে কড়া ভাষায় সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা।
এখানে বলা হচ্ছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে। সূত্রে জানা যায় যে এবার তাঁকে বিজেপির পক্ষ থেকে ‘সেন্সর’ করা হয়েছে এই কাজের জন্য।
রাজ্য নেতৃত্বকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘হিম্মত থাকলে কলকাতায় বিজেপিকে জিতিয়ে দেখান।’
তারপরই সিবিআই নিয়ে বেলাগাম মন্তব্য করে বুঝতে পেরেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রোষানলে পড়তে হবে। তাই তিনি আগাম বলেন, ‘আমি দল বা সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে কিছু বলিনি।
আমি যেমন দলের কাছে দায়বদ্ধ, ততটাই দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছেও।
গত কয়েক বছরে তৃণমূলের সন্ত্রাসে দলের অনেক কর্মী-সমর্থক মারা গিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের মনের কথাই আমার মুখ থেকে বেরিয়েছে।’
কেন দিলীপ ঘোষকে সেন্সর করা হল?জানা যায় এর আগেও বহুবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এর জন্য তাকে সতর্ক করা হয়েছিলো।
তাকে জানানো হয়েছিল যে ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য তিনি করতে পারবেন না বলে। তার জন্য দলকে অস্বস্তিতে পরতে হয়েছে ক্রমাগত।
এমনকী দিলীপ ঘোষকে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নিষেধ করেছিল দল।
দলের সেই নির্দেশিকাকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি তিনি। ফলে তাঁকে সেন্সর করার পথে হাঁটতে হয়।
সিবিআই তদন্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে এখানে সিবিআই তদন্ত চলছে। কিন্তু, কেউ ধরা পড়ছিল না। কোনও এফেক্ট পড়ছিল না। কারণ সর্ষের মধ্যে ভূত।
কেউ লক্ষে হয়, কেউ কোটিতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর ৬০ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন।
কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সিবিআই? কতজনকে সাজা দিয়েছে? সিবিআই এফআইআর করতে পারেনি।
সিবিআইয়ের কাছ থেকে ন্যায় পাইনি। সবথেকে বিশ্বস্ত এজেন্সি হচ্ছে ইডি। তারা সেটা প্রমাণ করেছে।’