ফের নক্ষত্রের ছন্দপতন ঘটল।হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন প্রখ্যাত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তার এমন অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া টলিপাড়া থেকে রাজনৈতিক মহলে।এদিন তার মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে মমতা লেখেন, ‘অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর পেয়ে খুবই কষ্ট হচ্ছে। এমন একজন প্রতিভাবান অভিনেতা কম বয়সেই চলে গেলেন।

 

জানা যায়,বুধবার রাতে শ্যুটিং চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপর প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে ফিরে বুকে ব্যথা শুরু হয়। কোনও রকমে খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ির লোকজন তাঁকে নিথর অবস্থায় পান।পরিবার সূত্রে খবর, কিছু দিন আগেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় অভিষেকের। সেই অবস্থাতেই শ্যুটিংয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবারই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তার আগে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে শ্রদ্ধা জানানো হবে প্রয়াত অভিনেতাকে। ইতিমধ্যেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছতে শুরু করেছেন টলিউডের তারকারা।

 

মূলত নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা ছিলেন অভিষেক। এক সময় প্রসেনজিত্‍ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পালদের সঙ্গে একসারিতে নাম উঠে আসত তাঁর। উত্‍পল দত্ত, সন্ধ্যা রায়ের মতো প্রতিভাশালী অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। কাজ করেছেন শতাব্দি রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মতো সমসাময়িক প্রথম সারির অভিনেত্রীদের সঙ্গেও চুটিয়ে কাজ করেছেন।তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলি হল-পথভোলা, সুরের আকাশে, পাপী, শেষ প্রতীক্ষা, সীমান্ত পেরিয়ে, রাত্রি শেষের তারা, আলো ইত্যাদি। এছাড়া টাপুর টুপুর, চোখের তারা তুই, ফাগুন বৌ-সহ বহু জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালেও তিনি অভিনয় করেছেন। ইদানীং ‘খড়কুটো’ ও ‘মোহর’ টিভি সিরিয়ালে তাঁর অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১৫ সালে বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে।আচমকা তাঁর মৃত্যুর এই খবরে শোকস্তব্ধ বাংলার বিনোদন জগতের সাথে রাজনৈতিক মহল।

 

আরো পড়ুন:Abhishek Chatterjee: মাত্র ৫৭ বছর বয়সে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা