ডিএর (DA) দাবিতে তোলপাড় গোটা রাজ্য। কিন্তু সেই ডিএ যদি দিতে হয়, তবে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং স্বাস্থ্য সাথীর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay) অন্তত তেমনটাই দাবি করেছেন।

 

দিদির সুরক্ষা কবচ অনুষ্ঠানের জন্য খড়দা পাটুলিয়া পঞ্চায়েত অঞ্চলে যান তিনি। সেখানে শোভনদেব (Sovandeb Chattopadhyay) বলেন, “কেন্দ্রের হয়তো সামান্য টাকা বেড়েছে। কিন্তু আমারটা না বাড়ালেও আমি খাওয়া বন্ধ করব না। তবে, এই ডিএ দিতে গেলে লক্ষ্মী ভান্ডার এবং কন্যাশ্রীর তহবিল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে টাকা নেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “আপনারাই বিচার করে দেখুন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিবের জন্য ভাববে না কেবল সরকারি কর্মীদের জন্য” যদিও এই বিষয়টা নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, “তাহলে বোঝাই গেল, সরকারি কর্মীদের টাকায় সরকারি প্রকল্প হচ্ছে। তাহলে এই বিষয়টা প্রকাশ্যে এসে বলে দেওয়াই ভাল।”

 

মন্ত্রী আরও বলেন, “বাংলা ১০ কোটি মানুষকে ভাত খাওয়াচ্ছে, সেটা অন্যায্য? কেন তিন লাখ মানুষ ডিএ পাচ্ছে না, সেটা অপরাধ। একবার ভেবে দেখুন এটা ।”এই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রী ঘোষণা করেন, “ ডিএ না পেলে আমার খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে না। কিন্তু ডিএ মঞ্জুর হলে লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং স্বাস্থ্য সাথী উভয়ই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কন্যাশ্রী থেকে টাকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আপনারাই বিষয়টি বিচার করবেন।” বিধায়কের এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বিদ্রুপের সাথে বলেছিলেন, “রাজ্য সরকার খুব ভাল করেই জানে যে নিয়ম মেনে চললে মেলা, খেলা বা উৎসব কোনোটাই হবে না।”

আরও পড়ুন:Vande Bharat Express:মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টাতেই পুরী!খুব শীঘ্রই হাওড়া-পুরী রুটে চালু হতে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

By Sk Rahul

Senior Editor of Newz24hours