মৃত বিপজ্জনক গাছ কাটলো বন দপ্তর,পাল্টা গাছ লাগানোর দাবি তুললো গ্রামবাসীরা।ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট (Basirhat) জেলার।

বসিরহাটেরস্বরূপ নগর ব্লকের শাড়াপুল ও হাকিমপুর সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সীমান্ত রাস্তার দু ধারে সারি সারি মৃত প্রায় শিশু গাছ রয়েছে।যেখানে একদিকে বিএসএফের কনভয়।অপরদের ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত।আর এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশাপাশি সীমান্ত থেকে বসিরহাট কলকাতা সংযোগকারী বিথারী হাকিমপুর সীমান্তের এই রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অভিযোগ উঠছিল,রাস্তার ধারে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে বহু প্রাচীন মৃত শিশু গাছ কঙ্কালসার চেহারা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।যেকোনো সময় ডালপালা ভেঙে রাস্তার উপর পড়ছিল একদিকে সাধারণ মানুষ বিপথগামী হচ্ছিল।

সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও এই রাস্তার উপর থেকে যাতায়াত ছোট ও বড় গাড়ি চালকদের দাবি ছিল যেভাবে মৃত প্রায় শিশু গাছ দাঁড়িয়ে আছে,যে কোন সময় ভেঙে পড়লে বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে সাধারণ মানুষ,ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পরিবহন ব্যবস্থা।পাশাপাশি বহু সীমন্ত বাহিনী রসদ নিয়ে যাওয়ার ট্রাক বিএসএফের চলার পথে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অত্যন্ত জরুরী।তাই তারা দীর্ঘদিন দাবি করে আসছিলেন এই গাছগুলোকে কাটা হোক,পাশাপাশি বিকল্প গাছ লাগানোর বার্তা দেন।

বসিরহাটের বনদপ্তরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরে আজ সকাল থেকে সীমান্ত রোডে মৃত প্রায় শিশু গাছ কাটা শুরু করল প্রশাসনিক কর্মীরা।ধাপে ধাপে এই গাছগুলোকে কাটা হবে অন্যদিকে বিকল্প যাতে গাছ লাগানো হয় সেইদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীরা তারা চাইছেন ধ্বংসপ্রায় গাছ না কাটলে যেকোনো সময় বড় বিপদজনকের মুখে পড়তে হত সাধারণ মানুষকে। গাছ কাটছে এতে সুবিধা হবে কিন্তু পাশাপাশি তারা দাবি তোলেন বিকল্প যাতে গাছ লাগানো হয়।

স্বরূপনগর পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দপ্তরের কর্মদক্ষ দুলাল ভট্টাচার্য বলেন,-দীর্ঘদিন আমাদের কাছে অভিযোগ আসছিল মৃতপ্রায় গাছগুলো ডালপালা ভেঙে পড়ছে।এরপরই সাধারণ মানুষরা স্বরুপ নগরের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেই।তারপর প্রশাসনের উদ্যোগে বনদপ্তরের সাহায্য নিয়ে এই গাছগুলো কাটা হচ্ছে।এইসব অঞ্চলে বেশকিছু রাস্তার ধারে গাছ রয়েছে যেগুলো শুকিয়ে গেছে ধ্বংসাত্মক চেহারা নিয়েছে।যার কারণে কাটা হচ্ছে পাশাপাশি,প্রশাসনকে বলবো গাছ যেমন কাটছেন অন্যদিকে বিকল্প গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করা হোক যাতে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে, জনসমাজে এর কোন প্রভাব না পড়ে।

 

আরো পড়ুন:Priyanka Mitra: সুস্থ প্রেম করতে চান প্রিয়াঙ্কা, কেনো এরকম বললেন তিনি?