না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী (Keshari Nath Tripathi)।রবিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ উত্তরপ্রদেশে নিজের বাড়িতেই ভোর পাঁচটা নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ ডিসেম্বর কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বাথরুমে পড়ে যান।তাঁর ডান হাত ভেঙে যায়। যার কারণে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন।শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন থাকার পর ত্রিপাঠীকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ ভোরেই সব শেষ।

বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, ‘কেশরীনাথ ত্রিপাঠী নিজের কাজ এবং জ্ঞানের দৌলতে সকলের শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। সাংবিধানিক বিষয়ে তাঁর যথেষ্ট পারদর্শিতা ছিল। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। রাজ্যের উন্নয়নেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবার ও পরিজনকে আমার সমবেদনা জানাই।’

শোকবার্তা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর প্রয়াণে আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তিনি এক জন মহান মানুষ ছিলেন। আমাদের দেশের জন্য তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

প্রসঙ্গত,১৯৩৪ সালের ১০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। সাত ভাইবোনের মধ্যে সবথেকে ছোটো ছিলেন। প্রাথমিকভাবে সেন্ট্রাল হিন্দু স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। তারপর ১৯৪৯ সালে আগরওয়াল ইন্টার কলেজ থেকে হাইস্কুল এবং ১৯৫৩ সালে এলাহাবাদ (বর্তমানে প্রয়াগরাজ) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেছিলেন। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এলএলবি করেছিলেন। এলাহাবাদ হাইকোর্টে প্র্যাকটিসও করতেন। যিনি মীরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট পেয়েছিলেন। লিখেছিলেন বইও।

রাজনৈতিক জীবনে ছ’বার উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত জনতা দলের শাসনকালে উত্তরপ্রদেশের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকারও ছিলেন কেশরীনাথ। তারপর ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের ২০ তম রাজ্যপাল ছিলেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেইসময় বিহার, মেঘালয় ও মিজোরামের রাজ্যপালেরও দায়িত্ব সামলেছিলেন।

 

আরো পড়ুন:Kunal Ghosh:কুণাল ঘোষকে নিশানা করে জয় শ্রীরাম স্লোগান!হাসি মুখেই পাল্টা উত্তর দিলেন নেতা