ফের শিরোনামে নন্দীগ্রাম (Nandigram)।নন্দীগ্রাম দিবসে তৃণমূলের শহিদ স্মরণের মঞ্চ পোড়ানোর অভিযোগে তিন বিজেপি কর্মীকে এবার গ্রেফতার করল পুলিশ।কার্তিক বারিক, গৌরাঙ্গ মণ্ডল ও সঞ্জীব মণ্ডল নামে তিন বিজেপি কর্মীকে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর,অভিযোগপত্রে প্রথম নাম রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এ ছাড়াও বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল, অশোক করণ, স্বদেশ দাস অধিকারী, মণ্ডল সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মাইতি, সহ-সভাপতি দেবাশিস দাসেরও নাম রয়েছে ওই অভিযোগপত্রে।অর্থাৎ এই অঙ্গীকাণ্ডের ঘটনায় মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।
এদিকে জানা গিয়েছে, যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা খেজুরিতে আত্মগোপন করেছিল। আগামীকাল তাদের হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
আবার এই ঘটনাকে ঘিরেও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত তৃণমূল বলছিল নন্দীগ্রামে বিজেপি নেই, শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থন নেই। শুভেন্দু অধিকারী লোডশেডিং করে জয়ী হয়েছেন।’ এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘ছোটখাটো একটা সাধারণ ঘটনায় বিরোধী দলনেতাকে তৃণমূল অভিযুক্ত করছে। বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূলের অবস্থান কোথায় আছে। আগামী দিনে তৃণমূলের অস্তিত্ব থাকবে না।’
অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি নেতারা ঠিক করে দিচ্ছেন কার বাড়িতে সিবিআই যাবে, কার বাড়িতে এনআইএ যাবে। তখন খুব আনন্দ হচ্ছে। আর এখন নিজেরা অপরাধ করে তৃণমূলকে দোষী করলে হবে না। আমাদের ছেলেদের মিথ্যা মামলায় জড়াবেন আর আপনাদের ছেলেরা কেন্দ্রকে দেখিয়ে বাড়িতে ঘুমাবে! দুটো একসঙ্গে হবে না।’
আরো পড়ুন:TMC:বিজেপির বিরুদ্ধে পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগে,নন্দীগ্রামে পথ অবরোধ তৃণমূলের!