ইডির নজরে এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা।শনিবার রাতে ব্যাংকক যাওয়ার পথে তাঁকে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। অভিবাসন দপ্তর থেকে জানানো হয়, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) নাকি তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে।শুধু তাই নয়, তাকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকাতেই বসিয়ে রাখা হয়।
শনিবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ ব্যাংকক যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর (Menaka Gambhir)। রাত ৯টা ১০ মিনিটে ইন্ডিগোর বিমান ধরার কথা ছিল তাঁর। সেই উদ্দেশ্যে কলকাতা বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতরের কাউন্টারে নিজের পাসপোর্ট এবং বিমানের টিকিট জমা দেন তিনি। কাউন্টারের তরফ থেকে তখনই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এই উড়ানে চড়তে পারবেন না তিনি।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে মেনকা গম্ভীরের নামে ‘লুক আউট’ নোটিস জারি করেছিল ইডি। দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে পাঠানো রয়েছে সেই নোটিস। তাই মেনকা গম্ভীর শনিবার ব্যাংকক যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতরে পাসপোর্ট জমা করতেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয় এবং বিমানবন্দরেই অভিবাসন দফতরের ঘরে মেনকাকে আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়।এর পরই দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে খবর দেয় কলকাতা বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতর। সূত্রের খবর, অভিবাসন দফতরের ফোন পেয়ে দিল্লি থেকে ইমেল মারফত মেনকাকে হাজিরা দেওয়ার নোটিস পাঠানো হয় কলকাতায় ইডির অফিসে। কলকাতার অফিস থেকে এক জন আধিকারিক বিমানবন্দরে সেই নোটিস নিয়ে আসেন এবং মেনকার সঙ্গে কথা বলেন। এর পর তাঁর হাতে ওই নোটিসটি ধরানো হয়। আগামী সপ্তাহে মেনকাকে ইডি-র দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ ওই নোটিসে রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর কয়লা পাচার কাণ্ডে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজিরা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন তাঁকে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা জেরা করেন ইডি-র আধিকারিকরা।
আরো পড়ুন:Abhishek Banerjee:অভিষেকের বাবা মায়ের নামে তিন সংস্থার হদিশ দিল এবার ইডি!