২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২ জন খুনে উত্তপ্ত ফের ভাটপাড়া (Vatpara)।একজনকে দিনের আলোতে এবং অপরজনকে রাতের অন্ধকারে গুলি করে খুন করা হল।শনিবার সকাল ১১টাতে ভাটপাড়ার ১২ নং ওয়ার্ডে গুলি করে খুন করা হয় ইমারতী সামগ্রীর ব্যবসায়ী সালামউদ্দিন আনসারিকে। শনিবার রাতেই ভাটপাড়ার ২২ নং ওয়ার্ডে জগদ্দল রেলগেটের কাছে মদের আসরে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন রোহিত।প্রশ্ন উঠেছে, এর আগে ভাটপাড়ায় একটা বোমা পড়লেও রাজনীতির গন্ধ লেগে যেত। এমনকী সাংসদের বাড়িতে বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় এইআইএ তদন্ত চলছে।কিন্তু পরপর দুটি খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত রাজনৈতিক অভিযোগ,পাল্টা অভিযোগ হয়নি।এদিকে দুটি প্রাণ অকালে চলে গেল।এরপরই এই দুই খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম।

 

তিনি বলেন, আপনারা জানেন ভাটপাড়া (Vatpara) ২০১৯ এ কিভাবে উত্তপ্ত হয়েছিল, এবং কিভাবে গুলি বম চলেছিল। বিজেপি সেই সময় ভাটপাড়াকে উত্তপ্ত করে রেখেছিল।সেই আগ্নেয়াস্ত্র যেগুলো ছিল সেগুলো মনে হয় এখনো ঠিকভাবেও উদ্ধার হয়নি।এছাড়াও কিছু দুষ্কৃতি যারা জেলবন্দী ছিল, দেখা যাচ্ছে তারা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এবং এদের দ্বারাই এইসব ঘটনাগুলো ঘটছে।আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি পুলিশ প্রশাসন তৎপর।এর পরই তিনি সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যেই আবার পুলিশ এই জায়গাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে পারবে।এর সাথে তিনি এদিন বলেন, পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।মূল অভিযুক্ত ছাড়া আরো কে বা কারা জড়িত আছে তা তদন্ত হচ্ছে।

 

তিনি আরো বলেন,টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে এই ধরনের অভিযোগ একেবারে মিথ্যে। কারণ ভাটপাড়া পুরসভায় ই-টেন্ডার ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কাউকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া যেতে পারে না । আর টেন্ডারের লিস্ট বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হয়েছিল । সেই জায়গা থেকে এবং ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজেই সেই লিস্ট পেয়ে যেতে পারতেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে টেন্ডারে সকলেই অংশগ্রহণ করতে পারেন । ই-টেন্ডার ব্যবস্থা কাউকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া সম্ভব হয় না তাই এই ধরনের যুক্তি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

 

আরো পড়ুন:Mamata Banerjee:রাতের অন্ধকারে পাঁচিল টপকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকলো অচেনা লোক,নিরাপত্তা কোথায়?উঠছে প্রশ্ন!