বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস করার অভিযোগ উঠল এবার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।এখানেই শেষ নয় মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাঁর পেটে লাথি মেরে ভ্রূণ নষ্টেরও অভিযোগ উঠল।জানা যায় এমনি মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় (Katwa)।পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক। তার বিরুদ্ধে এলাকায় পোস্টারও পড়েছে।

 

বর্ধমান জেলার অন্যতম মহকুমা শহর কাটোয়া(Katwa)। অভিযুক্ত এক ব্যবসায়ী। নাম দিলীপ দেবনাথ। তার নিজের দু’টি রেস্তরাঁ রয়েছে। আবার অন্য একটি বেসরকারি হোটেলের ম্যানেজারও তিনি। একই সঙ্গে শাসক দলের ঘনিষ্ঠও তিনি।স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন এক মহিলা। তাঁর স্বামী নেই।অভিযুক্ত নেতার স্ত্রী অসুস্থ। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগায় সে। নিত্যদিন গভীর রাত্রে পরিচারিকা মহিলার ঘরে ঢুকত অভিযুক্ত। এরপর চলত শারীরিক নিগ্রহ। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিচারিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করত ওই তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, সঙ্গে দেওয়া হত হুমকি। ঘটনার বিষয়ে কাউকে জানালে ওই মহিলার পরিবারের সদস্যদের খুন করে দেবে বলেও অভিযোগ তুলেছেন নীগৃহিতা।

 

জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধর্ষণের জেরে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মহিলা। এরপর সেই কথা অভিযুক্তকে জানালে জোর করে গোপনে সেই ভ্রুণ নষ্ট করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এমনকী গর্ভাবস্থায় তাঁর পেটে লাথিও মারে ওই অভিযুক্ত। এরপর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় পরিবারের সকলে গোটা ঘটনার কথা খুলে বলেন নির্যাতিতা।

 

এরপর তাঁর পরিবারের সদস্যরা চলতি মাসের দু’তারিখ কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ দিকে, অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই এলাকাছাড়া ওই অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাটোয়া থানার পুলিশ।

 

নির্যাতিতা মহিলার বক্তব্য, ‘আমি বাচ্চা নষ্ট করতে চাই না। কিন্তু, সে আমাকে চাপ দিচ্ছিল। বাচ্চা নষ্ট না করলে আমাকে খুন করে ফেলবে বলেছিল।’

 

অন্যদিকে তৃণমূল নেতার স্ত্রী তার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তার বক্তব্য, তার স্বামী একজন ভালো মানুষ। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিকাশ চৌধুরী অভিযুক্তকে তৃণমূল নেতা বলতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘ও আমাদের দলের নেতা নয়।’ অন্যদিকে, এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি সীমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটাই তৃণমূলের কালচার। যখন কেউ অন্যায় করে তখন তৃণমূল তাকে চিনতে পারে না।’

 

আরো পড়ুন:TMC:সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মন্ডলের ঘনিষ্ঠ দুই তৃণমূল বিধায়ক