শাসকদলের কর্মীদের চাপে নাজেহাল সরকারি হাসপাতালের(Hospital) কর্মকর্তারা। আর এসবের জেরেই এক রোগী তথা এক কংগ্রেস নেতাকে তড়িঘড়ি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিলেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

খোদ রোগীই এমন অভিযোগ তুলেছেন। সূত্রের খবর, হাসপাতাল(Hospital) থেকে ছাড়া পেয়েই মাথা ঘুরে পড়ে যান ওই রোগী।

এই নিয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেসের চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের এসসি মোর্চার সভাপতি হিরু হালদারকে গত কার্ত্তিক পুজোর দিন বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল এবং তারপর থেকেই তিনি হাসপাতালে(Hospital) ভর্তি।

হামলার অভিযোগ উঠেছিল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে।

ভর্তির সময় তাঁর মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিন্হ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে বুধবারই(Wednesday) হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।

কিন্তু রোগী নিজেই বলছেন যে শরীর একেবারেই ভালো নেই তার।

হাসপাতালে আরও কয়েকদিন থাকলে ভালো হত।

কিন্তু তা সত্ত্বেও উপযুক্ত চিকিৎসা না করিয়েই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে, এমন অভিযোগ এনেছেন রোগী নিজেই।

এদিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাধ্য হয়ে তাঁকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে(Private nursing home) ভর্তি করা হয়েছে।

তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের চাপেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে তাড়াহুড়ো করে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।

এই নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, দিন কয়েক আগেও যমে মানুষে টানাটানি হচ্ছিল ওনার।

আর তৃণমূলের চাপে তাকেই ছেড়ে দেওয়া হল হাসপাতাল থেকে।

সরকারি হাসপাতালে যাতে বিরোধীরা চিকিৎসা পর্যন্ত না পান তার ষড়যন্ত্রও চালাচ্ছে শাসকদল(Ruling party)।

তবে এই নিয়ে শাসকদলের নেতৃত্ব বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন – Firhad Hakim: ত্রিপুরা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ফিরহাদ হাকিম