ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েও হল না শেষ রক্ষা।নাবালিকাকে হাত পা বেঁধে, মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে, অকথ্য নির্যাতন করে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মালদা (Malda) ধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তৃণমুল কর্মী শেখ রায়হানকে।ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজ বাজার থানার শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্ডিপুর এলাকায়।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার গ্রামের মহিলা ও নাবালিকাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিল এই শেখ রায়হান।অভিযোগ, ওই তৃণমূল কর্মীর দুই দাদা সিভিক ভলান্টিয়ার। তারাই ভাইকে এই ঘটনার পর পালাতে সাহায্য করে। মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাড়িতে যান মালদা (Malda) জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, সমগ্র পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবেন সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার মৌসুমি দত্তরায়। এদিন তিনি জানিয়েছেন, নির্যাতিতার ওপর ভয়ংকর অত্যাচার হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত শেখ রায়হান এর আগেও গ্রামের মহিলা, নাবালিকাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে। অভিযুক্তের দুই দাদা আসরাফুল ও তাসরিফের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সার্বিক রিপোর্ট দেওয়া হবে জেলা শাসককে।তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সি এবং এলাকার বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র জানিয়েছেন, তৃণমূল হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে এই বিষয়ে জেলায় আইন শৃঙ্খলা তলানিতে নেমেছে বলে দাবি তুলে তীব্র সমালোচনায় নেমেছে বিরোধীরা।
জানা যায় ওই কিশোরী এই বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। বাবা পেশায় দিনমজুর। খুব কষ্ট করে মেয়েকে পড়াচ্ছেন। এদিন ঘটনার সময় তিনি কাজে গিয়েছিলেন। স্ত্রীও বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগকেই ওই যুবক কাজে লাগায় বলে অভিযোগ। ফাঁকা ঘরে ওই কিশোরী শুয়েছিল। সেই সময়ই ঘরে ঢুকে তার কপালে বন্দুক ঠেকায় অভিযুক্ত। এরপরই নারকীয় অত্যাচার চালায় ছোট্ট মেয়েটির উপর। যখন চিত্কার শুনে এলাকার লোকজন ছুটে আসেন, মেয়েটি বিছানায় শুয়ে তখন কাতরাচ্ছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চাদর। মা, বাবা এসে মেয়েকে এই অবস্থায় দেখে কেঁদে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে তুলে নিয়ে হাসপাতালের পথে ছোটে পরিবার।
আরো পড়ুন:Strike:বনধের সকালে জনজীবন স্বাভাবিক হলেও কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তির চিত্র