বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম পরিদর্শনে যান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম,রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়,এবং লাভপুরের বিধায়ক অভিজিত্‍ সিংহ।রামপুরহাটে পৌঁছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন,রামপুরহাট-কাণ্ডের ঘটনায় সিপিএম, বিজেপি বা অন্য দল যেই জড়িত থাকুক ছাড় পাবেন না। এমনকি তিনি এদিন স্পষ্ট করে জানান তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকলে, ছাড় দেওয়া হবে না তাঁদেরও।

 

 

এছাড়াও মন্ত্রী বলেন, ‘‘তৃণমূলের বদনাম করার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় চক্রান্তের নিদর্শন। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।’’ফিরহাদ আরও বলেন, ‘‘আমাদের লোককেই প্রথমে মারবে। তারপর আমাদের লোকদেরই আগুনে পুড়িয়ে মারা হবে। এই ঘটনা সহ্য করা যাবে না। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সঠিক তদন্ত করার জন্য। রাজ্য পুলিশের ডিজি রামপুরহাট আসছেন। ডিজিকে বলেছি আপরাধীদের খুঁজে বার করতে হবে। সবার উপরে আইন রয়েছে। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না।’’এদিন ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি এই বিষয়ে কিছু বলেননি। যদিও, এর আগে তিনি শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন।

 

 

অন্যদিকে, বীরভূমের বগটুই গ্রামে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে ইতিমধ্যে ‘ গণহত্যা” বলে আখ্যা দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।মহম্মদ সেলিমের দাবি,তৃণমূলনেত্রী বিরোধী শূন্য রাজনীতির পথে হেঁটেছিলেন। এখন তৃণমূলই তৃণমূলকে শূন্য করার অভিযানে নেমেছে।প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ১০টা নাগাদ রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয়।রাত বাড়তেই উত্তেজনা পারদ আরও চড়তে শুরু করে। একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়।এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী।

 

আরো পড়ুন:E-Auto:দূষণ রোধ করতে রাস্তায় এবার ই-অটো নামতে চলেছে পরিবহন দপ্তর