ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan) সীমান্তে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে। একাধিকবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে হামলা চালানো হয়েছে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। তার পাল্টা জবাবে ভারতও শুরু করেছে কড়া প্রত্যাঘাত। দেশের সাধারণ মানুষ যেমন সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে, তেমনি এবার কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে দাঁড়াল বেলুড় মঠও। মুখ খুলেছেন বেলুড় মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ।
স্বামীজি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “এটা শুধু সরকারের যুদ্ধ নয়, এটা প্রতিটি ভারতীয়র যুদ্ধ। যখন কেউ ভারত মাতৃকার গায়ে আঘাত হানার চেষ্টা করে, তখন তার প্রত্যুত্তরে দাঁড়ানো আমাদের ধর্ম। দেশের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য।”
প্রসঙ্গত, গত মাসে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে একটি ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। নিহতদের মধ্যে তিনজন ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। সেই ঘটনার পর থেকেই দেশে জঙ্গি নাশকতার বিরুদ্ধে জনমত জোরালো হয়। কেন্দ্রের তরফে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা করা হয়, ধ্বংস করা হয় নয়টি জঙ্গি শিবির। সেই ঘটনার পর থেকেই পাকিস্তান পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে, যার ফলে কাশ্মীরের বহু সাধারণ নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে।
এই পরিস্থিতিতে বেলুড় মঠের তরফ থেকে আধ্যাত্মিক সহানুভূতির বার্তা দেওয়া হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন স্বামী সুবীরানন্দ। তিনি বলেন, “ভারতের প্রতিটি কণা পবিত্র। এই ভারত বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণের ভারত। ঋষি-মুনিদের ভারত। যদি কেউ সেই ভারতকে আঘাত করে, তাহলে নিশ্চয়ই ভারত চুপ করে থাকবে না। প্রত্যাঘাত করবই।”
স্বামীজি আরও যোগ করেন, “আধ্যাত্মিক এবং নৈতিক দিক থেকেও অন্যায় আক্রমণের পাল্টা জবাব দেওয়া অপরিহার্য। আত্মরক্ষা এবং দেশের সুরক্ষা আমাদের কর্তব্য। আমরা ভারত সরকারের পাশে আছি এবং ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, যাতে শাসকেরা প্রজ্ঞা ও সাহস নিয়ে দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। এই যুদ্ধ আসলে অশুভের বিরুদ্ধে শুভের লড়াই, অকল্যাণের বিরুদ্ধে কল্যাণের সংগ্রাম।”