পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack) ২৬ জন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুর পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে ভারত চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নিশানাহীন ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালিয়ে সেগুলি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। এই অভিযান পরিচালনায় সরাসরি নজর রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অভিযানের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এর কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিল – কেন্দ্র ঘোষণা করল, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে কর্তারপুর করিডর।
বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতায় থাকা ইমিগ্রেশন ব্যুরোর তরফে জানানো হয়েছে, নতুন নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা আর পাকিস্তানের কর্তারপুর গুরুদ্বারে যাতায়াত করতে পারবেন না। ওই দিন সকালেই কর্তারপুর যাওয়ার জন্য ৫০০ জনের বেশি তীর্থযাত্রী নিবন্ধন করেছিলেন। এর মধ্যে প্রায় ১০০ জন হাজিরও হয়েছিলেন যাত্রার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তাঁদের ফিরে যেতে বলা হয়। পাঞ্জাবের বাটলার সিনিয়র পুলিশ সুপার সোহেল কাশিম মীর এই তথ্য জানিয়েছেন।
তবে কেন হঠাৎ করে করিডর বন্ধ করে দেওয়া হল, সে বিষয়ে এখনো কেন্দ্রের তরফে কোনও স্পষ্ট কারণ জানানো হয়নি। যদিও মনে করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক অপারেশন সিঁদুর-এর প্রতিক্রিয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কর্তারপুর গুরুদ্বার শিখ ধর্মাবলীদের কাছে এক পবিত্র তীর্থস্থান। এখানেই জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন শিখ ধর্মগুরু গুরু নানক। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পরে গুরুদ্বারাটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে চলে যায়। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের শিখ ধর্মাবলীরা এই পবিত্র স্থানে নির্বিঘ্ন যাতায়াতের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ২০১৯ সালে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে চালু হয় ‘কর্তারপুর করিডর’। চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডর দিয়ে শিখ তীর্থযাত্রীরা ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানের কর্তারপুরে প্রবেশ করতে পারেন।
আরও পড়ুন:Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর’-এ জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস, ভারতীয় সেনার পাশে বলিউড তারকারা