প্রচণ্ড গরম (Summer) পড়লেই সবচেয়ে বেশি চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠে বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের শারীরিক অবস্থা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের সহনশক্তি কমে আসে, ফলে তীব্র গরমে তাঁদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। অনেক প্রবীণ ব্যক্তি অভ্যাসবশত বা প্রয়োজনবশত প্রতিদিনই বাইরে বের হন— বাজার করা, হাঁটাহাঁটি বা প্রাত্যহিক কাজের জন্য। কিন্তু তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার বেড়ে যাওয়া হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে রোদে না বেরোনোই শ্রেয়। এই সময়টায় সূর্যের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকে। বাইরে বেরোতে হলে অবশ্যই হালকা রঙের সুতি পোশাক, টুপি বা ছাতা, এবং পর্যাপ্ত পানীয় জল সঙ্গে রাখতে হবে।
শুধু বাহ্যিক সাবধানতা নয়, শরীর ভিতর থেকেও সুস্থ রাখার জন্য সঠিক খাওয়াদাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গরমের সময় প্রবীণদের খাদ্যতালিকায় থাকা উচিত হালকা ও সহজপাচ্য খাবার। ভাজা বা অতিরিক্ত মশলাদার খাবার এড়ানো ভাল। পরিবর্তে আঁশযুক্ত শাকসবজি, পাতলা ডাল, ঠান্ডা দুধ বা দই, ও তাজা ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই গরমে (Summer) জলীয় পদার্থের ঘাটতি যাতে না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার। দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস জল খাওয়া উচিত। তার সঙ্গে সঙ্গে নারকেল জল, লেবু জল, ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ORS) বা এক চিমটে লবণ ও চিনি দেওয়া জলও উপকারী হতে পারে।
বাড়ির বয়স্ক সদস্যরা যদি কোনও দীর্ঘস্থায়ী অসুখে ভুগে থাকেন, যেমন ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাদ্যাভ্যাস ও ওষুধের নিয়ম মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন।
সতর্কতা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম— এই তিনে মিলে গরমকালটা সুস্থভাবে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
আরো পড়ুন: Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার ছায়ায় দিল্লিতে তোলপাড়, মোদি-রাহুল বৈঠকে বাড়ছে জল্পনা
Image source-Google