অভিনয়ের কারণে বহুবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন ক্যাটরিনা কাইফ (Katrina Kaif)। তবে বিজয় সেতুপতির বিপরীতে ‘মেরি ক্রিসমাস’ ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শক ও সমালোচক—উভয়ের প্রশংসা কুড়িয়েছে। যদিও অভিনয় নিয়ে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন, নাচের জগতে ক্যাটরিনার অনুরাগী বরাবরই অনেক। কিন্তু একসময় নাকি নাচও তাঁর শক্তি ছিল না।
দীর্ঘাঙ্গী গড়নের কারণে নাচ শেখার পথে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁর শরীরই—এমনটাই জানিয়েছেন নৃত্য পরিচালক টের্যান্স লুইস এক সাক্ষাৎকারে।
ক্যাটরিনার (Katrina Kaif) প্রথম ছবি ‘বুম’। সেই সময় নাচের কোনও প্রশিক্ষণই ছিল না ক্যাটরিনার। টের্যান্স বলেছেন, “ক্যাটরিনা কইফ একটা মেয়ে বটে! মনে আছে, ‘বুম’ ছবির পরে ওর সঙ্গে একটা অনুষ্ঠান করেছিলাম। দেখেই মনে হয়েছিল, আরে ওর তো দেহের গড়নই ঠিক নেই। নাচতেও পারে না। না আছে চেহারা, না আছে নাচের প্রশিক্ষণ। লম্বা-চওড়া দেহের অধিকারী শুধু।”
কিন্তু টের্যান্সের সেই ধারণা বদলাতে সময় লাগেনি। ‘রেস’ ছবিতে বসকোর কোরিওগ্রাফিতে ‘জ়ারা জ়ারা টাচ মি’ গানে ক্যাটরিনার পারফরম্যান্স দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর আত্মবিশ্বাস ও নাচের স্টাইল তাঁর নজর কেড়ে নেয় মুহূর্তেই। বসকোকে তিনি বলেছিলেন, “আরে তুমি কী করেছ! অসাধারণ নেচেছে ক্যাটরিনা। এই মেয়েটাকেই আমি দেখেছিলাম! এই মেয়েটারই অমন চেহারার গড়ন ছিল? সত্যিই ক্যাটরিনা প্রবল পরিশ্রমী একজন অভিনেত্রী। ও নিজের চেহারা ও কাজে যে ভাবে বদল এনেছে এবং নিজেকে যে ভাবে গড়ে তুলেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
ক্যাটরিনা সম্পর্কে এক বার শেখর সুমনও বলেছিলেন, “অভিনেতাদের জীবনের উত্থান-পতন থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। ক্যাটরিনা কইফকেই দেখুন। যখন প্রথম ‘বুম’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন, তখন তিনি ঠিক করে দাঁড়াতে পারতেন না। সংলাপ বলতে পারতেন না। নাচতেও পারতেন না। আর এখন তাঁকে দেখুন। ‘রাজনীতি’, ‘জ়িন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ বা ‘ধুম ৩’ ছবি দেখুন। বলতে পারবেন না, ক্যাটরিনা একই রকম রয়ে গিয়েছেন।”
আরো পড়ুন: Tamanna Bhatia: বিজয় বর্মার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আধ্যাত্মিকতার পথে তমন্না ভাটিয়া?
Image source-Google