খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে অরিত্র সেন (Aritra Sen) পরিচালিত ঋতাভরী, আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee) অভিনীত ছবি ‘ফাটাফাটি’ (Fatafati)। এই ছবির মূল বক্তব্য সৌন্দর্য্য শুধু নারীর চেহারায় নয়, তার সৌন্দর্য্য তার কাজে, বুদ্ধিতে এবং মেধায়। এত অসাধারণ একটি চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে ঋতাভরী রাজি হয়ে যান নিজের ওজন বাড়িয়ে নিতে। কারণ এই ছবিতে যে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে তা কোথাও যেনো তারই মনের কথা।
সম্প্রতি এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী (Ritabhari Chakraborty) বলছেন, ‘ফাটাফাটির শ্যুটিং শেষ হওয়ার ২ মাসের মধ্যেই আমার কাছে একটি বড় ওয়েব সিরিজের অফার আসে। কিন্তু সেখানে আমায় বলা হয়েছিল, ২ সপ্তাহের মধ্যে ওজন কমিয়ে ফেলতে হবে অনেকটা। প্রযোজকেরা একটা বিশেষ কড়া ডায়েট করতে বলেছিলেন আমায়, তাতে নাকি ২ সপ্তাহের মধ্যেই অনেকটা ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব। কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমার শরীরকে আবার এমন একটা ঝড়ের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাব না। আমি ওজন কমাতে রাজি হয়েছিলাম কিন্তু সুস্থ আর স্বাভাবিক পদ্ধতিেত। ৬ মাস পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম ওজন কমানোর জন্য।’
ওজন বাড়ানোর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋতাভরীকে কিভাবে ট্রোলড হতে হয়েছে সেকথাও সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে। ঋতাভরী (Ritabhari Chakraborty) বলছেন, ‘আমার একেবারেই মোটা চামড়া নয়। সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিং আমি উড়িয়ে দিতে পারি না, আমার গায়ে লাগে। তবে যে সমালোচনা আমার উন্নতির জন্য প্রয়োজন, সেগুলোর বিরোধী নই আমি। বরং সেগুলো থেকে শিক্ষা নিই। তবে যদি কোনও ছবির জন্য চেহারার পরিবর্তন করতে হয়, সেটা পরিচালক বা প্রযোজকের সিদ্ধান্ত। তাঁরা তাঁদের শৈল্পীক চোখ দিয়ে দেখেই সেই চরিত্রটা বানিয়েছেন, সেটা রোগা হোক বা মোটা। সেই লুক নিয়ে অভিনেতা অভিনেত্রীকে কিছু বলা মানে সেটা ব্যক্তিগত আক্রমণ। তার মানে, শিল্পে সমস্যা নেই, সমস্যা মানুষের সেটাকে মেনে নিতে, সমস্যা মানসিকতায়। আর এটা কখনোই সঠিক সমালোচনা নয়।’
আরো পড়ুন: Recipe: বাড়িতে বানিয়ে নিন সুস্বাদু আমসত্ব
Image source-Google