কালীপুজোর সময় ভীষণ ব্যস্ত থাকেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।দিনভর উপোস করে নিজের হাতে সমস্ত আয়োজন করেন তিনি। আবার অতিথি আপ্যায়ণও করেন।এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।পুজোর জায়গা সাজানো থেকে পুরোহিতকে সাহায্য,একা হাতেই সোমবার মমতা সব করেছেন। আবার ভোগ রান্নাও করেছেন একাই।তারমধ্যেই সমানতালে খোঁজ রাখছেন তিনি ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতির উপরও।

সোমবার এতো ব্যস্ততার মাঝেও সাধারণ মানুষকে সচেতন করলেন ঘূর্ণিঝড়ের চোখ রাঙানি নিয়ে।পাশাপাশি তার গতিপ্রকৃতি সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য দিলেন।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জনগণের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বললেন, ‘কালীপুজো, দীপাবলিতে আনন্দ করুন। তবে ঝড়বৃষ্টি বেশি হলে ঘরেই থাকাই নিরাপদ হবে। প্রশাসন সবরকমভাবে প্রস্তুত। আপনারা সাবধানে উত্‍সব করুন।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘সাইক্লোন বাংলাদেশে চলে গেছে। আজ রাত ১২টায় ওখানে ল্যান্ডফল হবে। বাংলায় হালকা বৃষ্টি হবে। সবাইকে অনুরোধ, এখনও ফিরবেন না। আপনারা রিলিফ সেন্টারে থাকুন। সরকার যা ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটা মেনে চলুন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জারি থাকবে। সবাই দেখে নেবেন,ঝড় বৃষ্টি হলে বেরবেন না। আবহাওয়া কাল থেকে ভাল হবে।’

তথ্য দিয়ে জানালেন,দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২৩৪৫৭ জনকে এবং উত্তর ২৪ পরগনার ১৯৩২৪জনকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরের ২৪৯২২ জনকেও অন্যত্র সরানো হয়েছে। সবমিলিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মোট ৬৭৯৭৩জনকে।

এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, বাড়ির পুজোর আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও তিনি নিয়মিত দুর্যোগ পরিস্থিতির খোঁজ খবর রাখছেন। বার বার ফোন করে খবর নিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছ থেকে।

প্রসঙ্গত,ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর সরাসরি আঁচ পড়বে না বাংলায়।হাওয়া অফিস কিছুটা স্বস্তির কথা জানালেও দুর্যোগের মেঘ এখনই কাটছে না।সকাল থেকেই কলকাতা পার্শবর্তী এলাকায় মেঘলা আকাশ।বৃষ্টির দেখা মিলছে হালকা থেকে মাঝারি।কমবেশি তিনদিন ধরে এই বৃষ্টি চলবে বলে জানা গিয়েছে।মানে সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি তাতে দীপাবলি ও কালীপুজোয় মনমরা হয়ে বাড়ি বসে থাকতে হতে পারে বঙ্গবাসীকে।

 

আরো পড়ুন:Mamata : “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গট গিফটেড”- রাজ চক্রবর্তী