পাঞ্জাবের দাপুটে কংগ্রেস(Congress) সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু (Navjyot singh Sidhu)। পঞ্জাবের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি হোক বা পঞ্জাব কংগ্রেসের অন্তঃকলহ।
বিগত কয়েকমাস ধরেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংবাদ শিরোনামে থেকেছে সিধুর নাম। সিধুর পাকিস্তান মন্তব্য নিয়ে বারাবার দানা বেঁধেছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কও।
এর মধ্যেই সিধু শনিবার জানিয়েছেন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভালো হলে ব্যবসা বাড়বে। শনিবার অমৃতসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সিধু প্রকাশ্যে বলেন,
“ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়লে, একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসাও বাড়বে।” এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে সিধুর গলায় শোনা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) প্রশংসা।
তিনি বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্য যে অমন-ইমান বাস পরিষেবা চালু করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, আমি সেই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কংগ্রেস নেতা(Congress) প্রশ্ন তোলেন,
“যদি করাচি সীমান্ত খোলা হয়ে থাকে তবে ব্যবসার জন্য তাঁরা কেন ব্যবসার জন্য আট্টারি সীমান্ত খুলে দিচ্ছে না? যদি কেন্দ্রীয় সরকার এই সীমাম্ত খুলে দেয় তবে ব্যবসা বাড়বে।
ফলে অনেকটাই লাভ করবে পঞ্জাবের অর্থনীতি।” কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সহ আন্দোলনের সময় মৃত কৃষকদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা।
এদিন সেই নিয়েও কথা তোলেন পঞ্জাব কংগ্রসের(Congress) সভাপতি।
সিধু জানিয়েছেন, স্বামীনাথনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পেলে সবরকমভাবে কৃষকদের সাহায্য হবে।
পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে, অন্যতম কংগ্রেস বিরোধী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে অরবিন্দ কেজরীবালের(Arvind Kejriwal) আম আদমি পার্টি।
পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করেন সিধু।
সম্প্রতি, কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে প্রার্থনা করতে গিয়েছেলেন সিধু।
কর্তারপুর করিডরে নভজ্যোৎ সিং সিধুর এক ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য(Amit Malabya)।
সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, কর্তারপুর করিডর খুলে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর(Narendra Modi) প্রশংসা করার পাশাপাশি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
এর পাশাপাশি, ইমরান খানকে(Imran Khan) নিজের ‘বড় ভাই’ বলেও সম্বোধন করেন সিধু।
সিধুর এই মন্তব্যেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।