দুজন মানুষ যখন একটি সম্পর্কে আবদ্ধ হয় তখন তারা একে অপরের ভরসার কাঁধ হয়ে ওঠে। দিনের শেষে মনের ডায়েরি হয়ে ধরা দেয় একে অপরের কাছে। কিন্তু অনেকসময়ই নানান কারণে এই বন্ধন ছিন্ন হয়, আলাদা হয়ে যায় দুজনের পথ যাকে আমরা বিচ্ছেদ বা চলতি কথায় ব্রেকআপ (Breakup) বলে থাকি। আর তখনই দিনের শেষে একা হয়ে পড়ে সেই বিচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে যাওয়া মানুষটা। সম্পর্কে ভাঙন বা ব্রেকআপ একটি মানসিকভাবে কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতা হতে পারে এবং এটি সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health) ওপর নানাভাবে প্রভাব ফেলে। এটি অনেকসময় মানুষের মানসিক স্থিতি ও দৈনন্দিন কাজে বিঘ্ন ঘটায়।

আরও পড়ুন: Dev: শুভশ্রীর নতুন ছবির জন্য শুভেচ্ছায় ভরালেন দেব

ব্রেকআপর প্রভাব বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম ভাবে পড়তে পারে। প্রিয় মানুষকে হারিয়ে ফেলার কষ্ট অনেকেই মেনে নিতে পারেননা সেটাই স্বাভাবিক। তবে এই দুঃখ দীর্ঘমেয়াদি হলে হতাশার আকার ধারণ করতে পারে। শুধু তাই নয়, অনেকসময় এই ব্রেকআপের কারণে মানুষ নিজেকে অপর্যাপ্ত মনে করে, নিজেকে মূল্য দেয়না; যার প্রভাবে আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা যায়। ব্রেকআপের (Breakup) কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই মানুষ একাকীত্বে ভোগে। অনেকেই বলেন সারাটা দিন নিজেকে নানারকম কাজে ব্যস্ত করে রাখলেও দিনের শেষে যখন নিজের ঘরে এসে বসেন যেনো এক অচেনা একাকীত্বে তাকে সবদিক থেকে গ্রাস করে। দীর্ঘদিনের এই শূন্যতা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে যা সামাজিক মেলামেশায় প্রভাব ফেলতে পারে।

এছাড়াও, অতীত সম্পর্কের স্মৃতি বা ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ মানসিক চাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি কখনও কখনও ঘুমের সমস্যা বা খাবার গ্রহণের উপর প্রভাব ফেলে। ব্রেকআপের পর একজন মানুষ দ্রুত মেজাজ পরিবর্তন, রাগ, কষ্ট বা অসহায়ত্ব অনুভব করতে পারে। এই আবেগীয় অস্থিতিশীলতা মানসিক স্বাস্থ্যকে (Mental Health) ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। ব্রেকআপ একটি কষ্টকর অভিজ্ঞতা ঠিকই। কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বের করে আনতে নিজেকেই হবে। দিনের শেষে আমরা সকলেই একা। তাই ব্রেকআপের সময় মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার কিছু উপায় দেখে নেওয়া যাক।

১. নিজেকে সময় দিন।

২. পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটান।

৩. নিজের অনুভূতি স্বীকার করুন।

৪. নতুন কিছুতে মন দিন।

৫. সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি নিন।

৬. স্বাস্থ্যকর খাবার খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুমান।

৭. পেশাদার সাহায্য নিন (প্রয়োজনে)

ব্রেকআপ একটি কষ্টকর অভিজ্ঞতা হলেও এখানেই জীবনের শেষ নয়। এটি জীবনের একটি অংশ মাত্র। আমাদের মনে রাখতে হবে নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব আমাদের নিজেকেই নিতে হবে এবং নিজের জীবনকে নতুনভাবে গুছিয়ে আবারও জীবনের মূল স্রোতে ফিরে আসতে হবে।

By Torsha

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *