বহু প্রতীক্ষার হলো অবসান।অবশেষে ডেথ সার্টিফিকেট পেল আরজি করের মৃত তরুণী চিকিৎসকের পরিবার।ঘটনার ৮ মাস পর এই শংসাপত্র পাওয়া গেল।বুধবার সোদপুর নাটাগড়ে নিহত তরুণী চিকিৎসক বাড়িতে যান স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম।সেখানেই নির্যাতিতার বাবার হাতে তরুণীর ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে যান তিনি।ডেথ সার্টিফিকেট পেয়ে খুশি নির্যাতিতার পরিবার।এমনটাই জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা।
প্রসঙ্গত,২০২৪ সালের ৯ আগষ্ট।আরজিকরে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল তরুণী চিকিৎসককে।এরপর ওঠে প্রতিবাদের ঝড়।দিনের পর দিন ধরে হয়েছে প্রতিবাদের মিছিল।কিন্তু তারপরেও ডেথ সার্টিফিকেট পাচ্ছিলেন না নির্যাতিতার পরিবার।এর আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেছিলেন,নির্যাতিতার পরিবার ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য় বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন।স্বাস্থ্য ভবন,কলকাতা পুরসভা,আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ তাঁদের এক অফিস থেকে অন্য় অফিসে,এক টেবিল থেকে অন্য় টেবিলে যেতে বাধ্য় করছেন।অবশেষে সাত মাস পরে সেই সার্টিফিকেট পেলেন তাঁরা।তবে এখনও ন্য়ায় বিচারের জন্য় লড়াই অব্যাহত রেখেছে পরিবার।প্রসঙ্গত,আরজি করের ওই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।তার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে সম্প্রতি আরজি করের নির্যাতিতার বাবা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছিলেন,-আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছি এবং ৫৪টি প্রশ্ন জমা দিয়েছি। আমার মেয়ে যাতে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য আদালত সেই উত্তরগুলি আমাদের কাছে নিয়ে আসবে। আমার মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে অনেকে জড়িত। আর প্রমাণ টেম্পারিংয়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছে অনেকের হাত। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ লোপাটের প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন,নির্যাতিতার বাবা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন।তিনি বলেছিলেন,পুলিশ তদন্তের জন্য ডগ স্কোয়াড নিয়ে এসেছিল,কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো রিপোর্ট পাইনি।আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে।এর আগে বার বারই নির্যাতিতার পরিবারে তরফে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছিল।তাঁরা ডেথ সার্টিফিকেট পাচ্ছিলেন না।এরপরই নড়েচড়ে বসল সরকার।কিন্তু তা বলে সাত মাস লাগল।এই প্রশ্নটা অনেকের।এখন কবে তরুণীর দোষী বা দোষীদের সাজা হয়,সেদিকে নজর সকলেরই।