কথা দিয়ে,কথা রাখলেন আবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।প্রতিশ্রুতিমতো সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতালের উন্নয়নে এল ৮ কোটি টাকা।জানা গিয়েছে,গ্রামীণ হাসপাতালের উন্নয়নে এই টাকা খরচ করা হবে।শয্যাসংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৬০টি করা হবে।এসব কাজ হলে তবেই সন্দেশখালির মানুষজনের কাছে আরও সহজে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত,২০২৪ এ ডিসেম্বর মাসে সন্দেশখালি গিয়ে এই হাসপতালের উন্নতির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।সেই মত এই হাসপতালের উন্নতির জন্য ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।উল্লেখ্য,গত ডিসেম্বরে সন্দেশখালিতে গিয়ে সেখানকার একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নীতকরণ। প্রত্যন্ত এলাকায় মাত্র ৩০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা মিললেও তা যে অপ্রতুল, স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে তার উন্নয়নের কথা ঘোষণা করেন। ৮ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়। তিনমাসের মধ্যেই সেই প্রতিশ্রুতি রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার হাসপাতালের উন্নয়নে অর্থদপ্তর এই টাকা অনুমোদন করেছে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চিঠি পাঠালেন স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার মাহাতো।বিধায়ক জানিয়েছেন, ”চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে হাসপাতালের উন্নয়ন করার কথা লেখা আছে। টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এবার ঘোষণামতো ৩০ শয্যা বাড়িয়ে ৬০ শয্যা হবে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। তাতে এখানকার মানুষজন আরও ভালোভাবে চিকিৎসা পরিষেবা পাবে।”
হাসপাতালের সন্দেশখালির বিএমওএইচ কৌশিক মণ্ডল জানান,”আমরা আজ খুব খুশি। মুখ্যমন্ত্রীকে অজস্র ধন্যবাদ। তিনি ডিসেম্বরে এখানে এসে দেখে গিয়েছিলেন হাসপাতাল। উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দের কথা বলেছিলেন। এবার তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। প্রশাসনিক অনুমোদন মিলেছে।অনেক চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। তাতে আরও ভালোভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারব।”মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করায় খুশি সাধারণ মানুষও।হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি-সহ সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন।