রাজারহাট বিষ্ণুপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ১৩৬ এবং ১৩৭ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের উদ্যোগে একগুচ্ছ সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে পালন হলো প্রজাতন্ত্র দিবস।দুদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে একদিকে মঞ্চ যেমন হয়ে উঠেছিল চাঁদের হাটে পরিপূর্ণ।ঠিক তেমনি সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজকে নতুন ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিল ১৩৬ এবং ১৩৭ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।

২৫ শে জানুয়ারি রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতি ও রাজারহাট নিউটাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রবীর কর উদ্বোধন করেন এই দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের!

এরপর সকাল ঠিক সাড়ে ১০ টা নাগাদ চক্ষু পরীক্ষা শিবির,দুপুর ৩ টে নাগাদ বসে আকো প্রতিযোগিতা,বিকেল ৫ টা নাগাদ হাতের লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।একইসঙ্গে দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।

এর পরের দিন অর্থাৎ ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ করে প্রথমেই সকালে জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর শহীদ বেদীতে মাল্যদানের মাধ্যমে সাড়ম্বরে প্রজাতন্ত্র দিবস এদিন পালন করেন রাজারহাট বিষ্ণুপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ১৩৬ এবং ১৩৭ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।এরপর সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির,বিকেল ৪ টে নাগাদ চারাগাছ ও ফুল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,- রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি,রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতি ও রাজারহাট নিউটাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রবীর কর,রাজারহাট নিউটাউন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য আফতাব উদ্দিন,উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ্যা জাহানারা বিবি, মেয়র পরিষদ রহিমা বিবি মন্ডল, আরাত্রিকা ভট্টাচার্য সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানদের পাশাপাশি,১৩৬ নম্বর বুথের সদস্য উত্তম হালদার,১৩৭ নম্বর বুথের সদস্যা পূর্ণিমা দাস, তাপস ব্যানার্জি সহ আর অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

এই অনুষ্ঠানে আগত সকল বিশেষ অতিথিদের এদিন বিশেষ ভাবে বরণ করা হয়।এবং এরপরই সন্ধ্যে ৭ টে নাগাদ গুণীজন এবং প্রবীর নাগরিকদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। একইসঙ্গে দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য এদিনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অর্থাৎ বলাবাহুল্য, একগুচ্ছ সামাজিক কাজের মাধ্যমে যেভাবে প্রজাতন্ত্র দিবস ১৩৬ এবং ১৩৭ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের উদ্যোগে পালন হলো, তা সত্যি প্রশংসনীয়।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *