ফুডকা ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ীকে (Foodka Indrajit Lahiri) সকলকে চেনেন। ঘুরে ঘুরে তিনি নানা হোটেল রেস্টুরেন্টের খাবারের রিভিউ দেন তিনি। তবে এবার নস্টালজিয়ায় চলা কলকাতার একটি হেরিটেজ হোটেলের ব্যাপারে কি এমন লিখলেন যা নিয়ে সাড়া পড়ে গেলো গোটা সোস্যাল মিডিয়ায়?
ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী (Foodka Indrajit Lahiri) একটা প্লেটে সাজানো চিকেন পকোড়ার ছবি বুধবার ফেসবুকের পাতায় লেখেন দিয়ে লেখেন, ‘একটি অপ্রিয় কথা বলি। কলকাতার বেশিরভাগ পুরোনো হেরিটেজ খাবারের দোকান দেখি সারাক্ষন জিয়া নস্টাল। তাঁদের খাবার হয়তো একটা সময় ভালো ছিল, এখন যথেষ্ট সাধারণ – খারাপ না, সাধারণ। হয়তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা আর নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেননি – চানও নি। ফলে দোকানগুলো ভাঙাচোরা , খুব পরিষ্কার নয়। কিন্তু কাঁচামালের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম আর আজকের দিনে খুব একটা কম নয়। কারো নাম না নিয়েই বলছি – এটা একটা আশ্চর্য ব্যাপার। মানে ওইদামে কিন্তু এখন বেশ কিছু দোকানেই খাবার পাওয়া যায় – পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে। আমি ঠিক জানিনা , এটা আমাদের কাছে আনন্দের নাকি দুঃখের ব্যাপার। সব ব্যাপারে নস্টালজিয়া কাজ করেনা। এটা হয়তো ভাবার সময় এসেছে।’
একজন লিখেছেন, ‘এটা কেবল রেস্টুরেন্ট না, গোটা কলকাতার সমস্যা। আইকনিক মানে এই নয় যে চেয়ার টেবিল ফ্যান সেগুলোকেও সেই আমলের হতে হবে, দেওয়ালে কালো চিটা পরে থাকতে হবে, এটা বোঝা দরকার। আর রেনোভেশন মানে যে সব ভেঙে একটা জেনেরিক চারিদিকে কাঁচ লাগানো কিম্ভুত কিছু বানানো নয়, সেটাও বোঝা দরকার। আইকনিক জায়গার নিজস্বতা বজায় রেখেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেওয়া সম্ভব।’
কারোর কথায়, ‘এঁরা চাইলে হেরিটেজ টাকে USP করতে পারতো। কিন্তু সেদিকে না গিয়ে পুরোনো ঘীর গন্ধ দিয়েই দিন কাটাচ্ছে। Glad you said it Indrajit Lahiri’। কারোর মন্তব্য, ‘হক কথা, হেরিটেজ লুকের সাথে তেল চিটচিটে টেবিলের, কালো দেওয়ালের, ফাটা প্লেটের যে কোনো সম্পর্ক নেই, এইটাই এরা বোঝেন না।’ কারোর মন্তব্য, ‘ভীষণ সত্যি। হাইজিন আর পরিচ্ছতা চালু রাখতে আমাদের এখানে কোন দোকানই পারলেও করে না। ছোট্টবেলা থেকে প্যারামাউন্ট আর পাশে তখন ছিলো প্যারাডাইস, ডাবের সরবৎ তাদেরই আবিষ্কার , খেয়ে বড় হয়েছি। বহুদিন যাবৎ প্যারামাউন্ট এ আর যাই না। ওদের বরফ গুঁড়ো করার বস্তাটা দেখলে খাবার ইচ্ছে চলে যাবে। আজ একজন, কাল একজন রাস্তা থেকে ধরে এনে শেখাচ্ছে যেমন জঘন্য তাদের পরিষেবা তেমন জঘন্য ব্যবহার। এইভাবে বহু দোকান নামে কাটছে।’
আরও পড়ুন: Recipe: বাড়িতে বানিয়ে নিন সয়া কিমা পাও
Image source-Google