শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shyamaprasad Mukherjee) ১২১ তম জন্মদিন ছিল।আর সেই উপলক্ষ্যে রাজ্যের স্থানে স্থানে বিজেপি একাধিক কর্মসূচি পালন করলেও বিধানসভায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালনে অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। যে কারণে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।আর স্পিকারের মন্তব্য পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়েন নি শুভেন্দু অধিকারী।ঠিক কি ঘটেছিল এদিন?

 

সূত্রের খবর আজ শ্যামাপ্রসাদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ শাসকদলের মন্ত্রী-বিধায়করা।কিন্তু সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)-সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন স্পিকার।

 

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শ্যামাপ্রসাদকে ওরা রাজনৈতিক গুরু বলে মনে করেন। তারপরও বিধানসভার এই অনুষ্ঠানে ওঁরা হাজির হলেন না। সংসদীয় রীতিনীতি এরা মানে না। তাঁর দাবি, আগে কখনও এমনটা হয়নি। এর আগে সুজন চক্রবর্তী, আব্দুল মান্নানরা সমস্ত কর্মসূচিতেই হাজির থাকতেন। কিন্তু এই বিরোধী দলনেতা অথবা বিরোধীদলের সদস্যরা বিধানসভার কোনও কর্মসূচিতে থাকেন না।

 

এ দিন অধ্যক্ষের বক্তব্যের সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় ঢোকেন। কিন্তু দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী সোজা তাঁর ঘরে চলে যান। সেখানেই ছিলেন অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা। অধ্যক্ষ বলেন,শুনেছি ওঁদের ঘরে একটা ছোট করে ছবি দিয়ে মালা দিয়েছেন। ওঁরা যদি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে নিজেদের ঘরে বন্দি করে রাখতে চান, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই। বিধানসভা রাজনীতি করার জায়গা নয় আমরা। মনীষীদের জন্মদিন সম্পূর্ণ মর্যাদার সঙ্গে পালন করি বিরোধীদের অবশ্যই এখানে উপস্থিত থাকা উচিত।

 

এরপর স্পিকারের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।তিনি স্পষ্ট জানান, ‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে কিভাবে শ্রদ্ধা জানাতে হয়? স্মরণ করতে হয়? তা অন্য কারো কাছ থেকে শিখতে চাই না। তাঁকে নিয়ে কোন উপদেশ অন্য কারোর কাছ থেকে শুনতে চাই না।’

 

আরো পড়ুন:shyamaprasad mukherjee:অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতিতে, শ্যামাপ্রসাদের জন্মদিনে বিজেপির মিছিলের জোট কাটল!