শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে (Ranil Wickremesinghe)।

ভয়াবহ আর্থিক সংকটে ভুগছে গোটা দেশ। রাজনৈতিক সংকটও চরমে।

রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে অন্তত চারবার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে আগে বসেছিলেন।

সেই তিনিই সংকটের দিনেও বসলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে। এদিন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান।

ইউনাইটেড ন্যাশানাল পার্টির নেতা রনিলকে সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই।

এদিকে শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা আগেই

জানিয়েছিলেন, যদি রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘেকে (Ranil Wickremesinghe) প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হয় তবে তাঁর দলও কৌশল স্থির করবে।

তিনি জানিয়ে দেন, আমরা দেশের সবথেকে বৃহত্তম বিরোধী দল। আমরা দেশের পরিস্থিতি বুঝি।

এদিকে গত কয়েকমাস ধরেই ভয়াবহ সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যেই সোমবার মাহিন্দা রাজাপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন।

এরপর কে এই পদে বসবেন তা নিয়ে জল্পনা ছড়াতে থাকে। এদিকে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টকেও তাঁর পদ থেকে সরাতে চান।

তবে প্রেসিডেন্ট অবশ্য বুধবারই জানিয়েছিলেন,বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য, দেশের অরাজকতার পরিস্থিতি বন্ধের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করতে চান।

ক্যাবিনেটও তৈরি করতে চান।যাতে সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা থাকে।

আর সেই কাজটাই হল। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পদে বসলেন রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে।