সময়ের সাথে সাথে নিজেদের কে চেঞ্জ করে ফেললেন সিপিআইএম (CPIM)। দীর্ঘদিনের নীতিকে পেছনে ফেলে আবার নতুন করে চমক দিলেন রাজ্য সিপিএম। মহম্মদ সেলিমের হাত ধরে এক ঝাঁক তরুণ তরুণীকে নিয়ে নতুন রাজ্য কমিটি তৈরি করে ২০২৪ এর আগে মাঠে নামতে যে তারা প্রস্তুত তা বলাই বাহুল্য। এতদিন কোথায় ছিল সিপিএম মানে পদ কে আঁকড়ে রাখার এক কৌশল কিন্তু এবারের রাজ্য সম্মেলনে তা ব্যতিক্রম হলো।
সম্মেলনের ছবিতে ঘুমন্ত অবস্থায় বয়স্ক সাদা মাথার ছবি নিয়ে নেট দুনিয়ায় বিভিন্ন মন্তব্য হলেও রাজ্য কমিটিতে এক ঝাঁক নতুন যুবক-যুবতীদের জায়গা দিয়ে এক নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি। রাজ্য কমিটির মধ্যে দেখা মিলবে না বিমান বসু থেকে শুরু করে নেপাল দেব ভট্টাচার্য সহ বহু সাদা মাথার পোড় খাওয়া সিপিএম নেতৃত্বকে। তবে শতরূপ ঘোষ (Shatarup Ghosh) থেকে শুরু করে মীনাক্ষী, অনেক নতুন মুখকে জায়গা দিয়েছে সিপিএম।
বয়সজনিত কারনে বাদ পড়তে হয়েছে রবীন দেব, সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, গৌতম ভট্টাচার্য সহ বহু পুরনো পোড়-খাওয়া মুখ। তবে এই প্রথম সংখ্যালঘু মুখ কে রাজ্য সম্পাদক করে সংখ্যালঘু ভোট বাক্সে আঘাত হানতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্র মারফত খবর, এই রাজ্য সম্মেলনে সুজন চক্রবর্তী, শ্রীজীব ভট্টাচার্য এবং মহম্মদ সেলিমের মধ্যে লড়াই চলছিল রাজ্য সম্পাদকের দৌড়ে। সবাইকে পেছনে ফেলে মহম্মদ সেলিমকে বেছে নিলেন সিপিএম (CPIM) নেতৃত্ব।
আর মহম্মদ সেলিম কে পেয়ে নতুন রাজ্য কমিটি অনেকটাই বাড়তি অক্সিজেন পাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।মহম্মদ সেলিম দীর্ঘদিনের সুবক্তা হিসেবেই সিপিএমের অন্তরে ভালো প্রভাব ফেলেছিল। আর বর্তমান রাজ্য কমিটি তার মতো একজন লড়াকু সামনের সারির একজন নেতৃত্বকে পেয়ে নতুন রাজ্য কমিটির কাজ করতে অনেকটা সুবিধা হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অপরদিকে সামনে দুই বিধানসভা উপনির্বাচন। তার মধ্যে বামপন্থীরা তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। একদিকে যখন রাজ্যের সরকার বালিগঞ্জ থেকে বাবুল সুপ্রিয় কে প্রার্থী করে চিন্তায় পড়েছে, ঠিক তখনই বালিগঞ্জে সংখ্যালঘু প্রার্থী উপর ভরসা এবং সংখ্যালঘু মুখে রাজ্য সম্পাদক হিসেবে বেছে নেওয়া। শাসকদলের নেতৃত্বরা যদি এই বিষয়টাকে গুরুত্ব না দেয় তাহলে উপনির্বাচন থেকেই সিপিএম এখন ওরকম লড়াই দিতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন : Subhendu : মমতার সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাল শুভেন্দু