আচমকা জঙ্গলমহলে বাড়ছে মাওবাদী সক্রিয়তা। মাওবাদীদের ডাকা বন্‌ধও পালন হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আগামী ২সপ্তাহের জন্য জঙ্গলমহলের মধ্যে থাকা চারজেলায় বাড়তি সতর্কতা জারি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশের কাছে বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন জানালেন বাঁকুড়ার ৫ তৃণমূল (TMC) নেতা।

 

সূত্রের খবর, রানিবাঁধ ও রায়পুরের ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরের পাঁচ তৃণমূল নেতা বাড়তি নিরাপত্তা চেয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন রানিবাঁধের ব্লক তৃণমূল (TMC) সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাহাতো, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি লীনা মণ্ডল, রায়পুরের জগবন্ধু মাহাতো, সুলেখা মাহাতো, রায়পুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রাজকুমার সিংহ। এঁদের মধ্যে কয়েকজনের দেহরক্ষী রয়েছে। তবু মাওবাদী হামলায় আশঙ্কা কাঁটা তাঁরা। আর সেই কারণেই আরও নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন এই পাঁচ নেতা।

 

রানিবাঁধের ব্লক তৃণমূল সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাহাতো জানিয়েছেন, একজন ব্যক্তিগত দেহরক্ষী রয়েছেন তাঁর। আরও একজন নিরাপত্তারক্ষী চান তিনি। এই মর্মে জেলা পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। লীনা মণ্ডলের কোনও ব্যক্তিগত দেহরক্ষী নেই। সুলেখা মাহাত জানিয়েছেন, ‘আমার ২ জন নিরাপত্তা রক্ষী আছে। এবার আমি হাউসগার্ড চেয়েছি।’ রায়পুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি রাজকুমার সিংহ যদিও এই দফায় নিরাপত্তারক্ষীর দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁর মতে, ‘আমার একজন দেহরক্ষী ছিল। কিন্তু ডিসেম্বর থেকে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। সেই সময় থেকেই আমি জেলা পুলিশের কাছে তা ফের মোতায়েন করার আবেদন করেছিলাম।’

 

আরো পড়ুন:Abhishek Banerjee:মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতাকে কেন আচমকা ফোন অভিষেকের?