কোন নারী চায় না সুন্দর লম্বা আর ঘন চুল! কিন্তু বাস্তবে বদলে যাওয়া এই আবহাওয়া, পরিবেশের দূষণ, অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে চুল রুক্ষ শুষ্ক আর নির্জীব হয়ে যেন অভ্যাস দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু উপায় অবলম্বন করলেই পেতে পারেন শোন তোর নরম এবং সিল্কি এবং মজবুত চুল। বাড়িতে থাকা ফল দিয়েই এবার যত্ন করতে পারবেন আপনার চুলের । আজকে জেনে নিন কোন কোন ফল আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত ভালো।

চুলের যত্ন নিয়ে নারীরা একটু বেশিই চিন্তিত থাকে। কেমন করে চুলের স্বাস্থ্য ফিরে আসবে, চুল সিল্কি হবে ইত্যাদি।ডিম ও কলার(banana) প্যাক বানিয়ে চুলে বানিয়ে চুলে লাগান। এতে চুলের যেমন স্বাস্থ্য ফিরে আসবে আর চুল ঝলমলে কালো ও সিল্কি।হবে শুধু তাই নয় চুল ঝড়াও ডিম ও কলার প্যাক সাহায্য করবে।

ফলের মধ্যে( Fruit)আমলকীতে(Amla ) আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা কোলাজেন প্রোটিন উৎপাদন করে। কোলাজেন স্ক্যাল্পের ডেড স্কিন সেলসকে সরিয়ে ফেলে ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়।আমলকির রস মাথার ত্বক এবং চুলে লাগাতে পারেন। প্রথমে আমলকির রস নিয়ে মাথার ত্বকে ভালভাবে লাগিয়ে আঙুলের সাহায্যে দশ মিনিট মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এরপর আধঘণ্টা রেখে তারপর হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করে ভালভাবে মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই-তিন বার এটি করতে পারেন। খুশকির সমস্যা কমে যাবে।

পাতিলেবুর রস খুশকি (dandruff)দূর করার একটা দারুন উপায়। পাতিলেবুর রস কেন্দ্রে মাথার স্ক্যাল্পে লাগান। পনেরো-কুড়ি মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু মধ্যে অ্যাসিড ফাঙ্গাস বিনষ্ট করতে অনেক কার্যকারী । সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন। খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন।

অ্যাভোকাডো(Fruit) একটা দারুণ ফল আমাদের চুলের জন্য অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড এবং প্রোটিন রয়েছে যা মাথার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং পুষ্টি সম্পন্ন করে তোলে।একটি পাকা অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল এক টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং পুরো মাথার স্ক্যাল্পে লাগান। তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু করে নিন এতে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুলের ডগায় পুষ্টি বাড়বে।

Image source-google