৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণ (Rape)। যার জেরে গণধোলাইয়ে মৃত্যু হয় ধর্ষণকারীর। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরা গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত নারায়নপুর পূর্ব দেবনাথ পাড়া এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গন্ডাছড়া মহাকুমায় নারায়ণপুরের দেবনাথ পাড়ায় এক বাড়িতে হরিলুট ছিল। কীর্তনের উপস্থিতিতে রতন আচার্যী নামে এক ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বারান্দায় চার বছরের এক শিশু কন্যা খেলছিল। লোকের অনুপস্থিত সুযোগ পেয়ে পাষন্ড রতন আচার্যী চার বছরের শিশুকন্যাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে শিশুকন্যাটির মা যখন দেখলেন মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন শিশুকন্যাটির মা লোকজনদের জিজ্ঞেস করতে থাকেন তার চার বছরের শিশু কন্যাটিকে দেখেছে কিনা। তখন কিছু লোক শিশুকন্যাটির মাকে বলেন, রতন আচার্যীর সঙ্গে শিশুকন্যাটিকে দেখেছেন।
সূত্রের খবর, একই পাড়ার বাসিন্দা রতন আচার্যীর চরিত্র ভাল নয়৷ এরপরই অভিযুক্ত রতনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনা এড়িয়ে যান। এলাকাবাসীর সন্দেহ হওয়ায় খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করেন চার বছরের শিশুকন্যাটিকে। এলাকাবাসীরা খোঁজাখুঁজি করে চার বছরের শিশুটিকে গভীর জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে। পরিস্থিতি বুঝে পালিয়ে যায় ধর্ষণকারী (Repist) রতন আচার্যী৷ ফের শুরু হয় তাঁর খোঁজ-তল্লাশি৷ অবশেষে সকালে পুলিশের আগে এলাকাবাসীরা ধর্ষনকারী (Repist) রতন আচার্যীকে খুঁজে বের করে গণধোলাই দেয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ এসে ধর্ষনকারী (Repist) রতন আচার্যীকে উদ্ধার করে গন্ডাছড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। গন্ডাছড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষনকারী (Repist) রতন আচার্যীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় পুলিশ স্থানীয় কয়েকজনকে আটক করেছে৷ এদিকে তাঁদের ছাড়াতে থানায় পাল্টা ঘেরাও শুরু করেছেন স্থানীয় মহিলারা৷