এক বছর পর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য বাজেটে (WB Budget 2025) বিশেষভাবে গ্রামাঞ্চলে নজর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কর্মসংস্থান, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং জনগণের সুবিধা নিশ্চিত করতে বাজেটে সব দিকই অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এবারের বাজেটে প্রধানত গ্রামাঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গত বছর রাজ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি ছিল। তাই, বন্যা রোধে এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
২০০ কোটি টাকা বরাদ্দে ‘নদী বন্ধন’ প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বন্যা প্রতিরোধের জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হবে এবং কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে। ঘাটালবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর করতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য নতুন করে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩৪০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে এবং আগামী দুই বছরে এই প্রকল্পে আরও অর্থ বরাদ্দ করা হবে। গ্রামীণ রাস্তাঘাটের উন্নয়নেও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, এবার তা ১,৫০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৩৭ হাজার কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে।
গ্রামাঞ্চলের মানুষ যাতে সরকারি সুবিধা সহজে পেতে পারে, সে জন্য বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় এবার ১৬ লক্ষ নতুন পরিবার যুক্ত করা হবে। অর্থাৎ, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে আরও ১৬ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে। এছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩৫০টি সুফল বাংলার স্টল খোলা হবে, যা গ্রামীণ জনগণের কাছে কম দামে সবজি ও আনাজ সরবরাহ করবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির আওতায় আরও বেশি মানুষকে সুবিধা দেওয়া হবে। রাজ্য বাজেটে মোটেই গ্রামাঞ্চলের ভোটারদের দিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের শক্তি মূলত শহরাঞ্চলে, যেখানে বিরোধীরা সফল হতে পারেনি, কিন্তু গ্রামে বিজেপি শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূলের মধ্যে কিছু বিভেদও হতে পারে, তবে এসব চিন্তা করে গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে, যাতে ২০২৬ সালের নির্বাচনে গ্রামীণ ভোটারদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ না থাকে।
আরও পড়ুন:Amisha Patel: বর্তমান অভিনেতা অভিনেত্রীদের উদ্দেশ্যে কি বললেন আমিশা?