২৪ ঘন্টা পেরোনোর মধ্যেই সম্পূর্ণ নিজেদের মত ভিন্ন করলো মৃত প্রসূতি মামনি রুইদাসের পরিবার।শুভেন্দু অধিকারীর কথায় যারা সুর মিলিয়েছিল, তারাই এবার সরকারের কাছে ক্ষমা চেয়ে সরকারি সাহায্যেরই দাবি জানাল।প্রসঙ্গত,বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে স্যালাইন বিভ্রাটে মৃত প্রসূতি মামনি রুইদাসের পরিবারের কাছে যান রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।সেখানে তিনি বলেছিলেন,-“চিন্তা করবেন না, যা বলে গেলাম, তাই করব।বাচ্চাটার দায়িত্ব আমার।মুখ্যমন্ত্রী ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।৫০ লক্ষের থেকে এক টাকাও কম নেবেন না।ওর পাঁচ লক্ষ টাকার দরকার নেই, আমিই দশ লক্ষ টাকা দেব।আজকে ২ লক্ষ দিয়ে গিয়েছি, আরও ৮ লক্ষ দেব।”মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার এক পয়সাও যাতে কম না নেন,তার জন্য মেদিনীপুরে স্যালাইন বিভ্রাটে মৃত প্রসূতি মামনি রুইদাসের পরিবারকে বলে যান রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।রাজ্য প্রশাসন মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ও একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আগেই।কিন্তু বিরোধী দলনেতা ঘুরে আসার পরই মামনি রুইদাসের স্বামী দেবাশিস রুইদাস জানিয়ে দেন সরকারি সাহায্য তিনি নেবেন না।

এখন তাঁর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য তাঁরা সরকারি সাহায্য চান। তাঁরা চান সরকার তাঁদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেই প্রতিশ্রুতি পালন করুক। তাঁরা আরও বলেছেন, তাঁদের মাথার ঠিক নেই, তাই তাঁরা ভুলভাল বলেছেন। আরও এক কদম এগিয়ে মামনি রুইদাসের শাশুড়ি জানান, তিনি সরকারের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন এরকম বক্তব্য রাখার জন্য।

উল্লেখ্য,প্রসূতি ও সদ্যোজাতর মৃত্যু ঘিরে বিতর্কের মুখে পড়া মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নতুন করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হল শনিবার। এদিন দুপুরে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন জোর করে সেখানে বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ।ঘেরাও করে মেডিক্যাল কলেজের সুপার, অধ্যক্ষদের। তবে মহিলা কমিশনের সদস্যদের ঘেরাওয়ের বাইরে রাখা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন তাঁরা। এনিয়ে মেডিক্যাল কলেজে তীব্র উত্তেজনা। নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর সুপার ডাঃ ইন্দ্রনীল সেন বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামলানো যায়নি বলে সূত্রের খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *