চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন ও প্রাক্তন বিধায়ক তথা নেতা আরাবুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল (TMC)। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল। দল বিরোধী কাজের জন্য এর আগেও আরাবুল ইসলামকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরে দলনেত্রী তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করে তাঁকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। যার ফলে গত পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন আরাবুল ইসলাম।

আরজি কর কান্ডের পর এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন শান্তনু সেন। হাসপাতালের প্রাক্তন পরিচালক সন্দীপ ঘোষ সরাসরি নিশানা। সেই সময় একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছিলেন। পরে তাঁকে তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর এখন দল থেকে বহিস্কার হয়েছেন শান্তনু। আরজিকর নিয়ে মন্তব্যের কারণেই কি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এদিকে আরাবুল ইসলামকে নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি, আইএসএফ অফিসারকে খুনের অভিযোগে কাশিপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তৃণমূল নেতাকে। সাত মাস পর জেল থেকে মুক্তি পান তিনি। তবে তারপর থেকেই বারবার তাঁর সঙ্গে তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনেও আরাবুলের ওপর হামলার অভিযোগও আনা হয় শওকতের বিরুদ্ধে। খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন।

কিন্তু সাম্প্রতিক কালে ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার সঙ্গে প্রকাশ্যেই তাঁর দ্বন্দ্ব দল ভালো চোখে মেনে নেয়নি। তাঁকে বারবার সতর্কও করা হয়েছিল কিন্তু আরাবুল তাতে কর্ণপাতও করেননি। তার ফলশ্রুতিতেই দলের তরফে এই কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে শান্তনু সেন মুখ খোলায় কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে যায় শাসক দল। শান্তনু সেনের প্রকাশ্যে নানা ধরনের মন্তব্য দলকে এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। যার ফলে আজ এই দুজনের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল দল।

আরও পড়ুন:Tmc:শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই দুলাল সরকারের হত্যা!তৃণমূলের ৩ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের

 

By Sk Rahul

Senior Editor of Newz24hours

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *