বৃহস্পতিবার বারাসাত তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে একটি সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল মধ্যমগ্রামের দলীয় কার্যালয়ে। এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা জেলা সভাপতি ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar), খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh), বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী (Narayan Goswami), বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, তাপস চট্টোপাধ্যায় (Chiranjeet Chakraborty), রাজারহাট নিউটাউনের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আফতাব উদ্দিন সহ প্রমূখ।

এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল সুপ্রিম তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরলেন জেলা নেতৃত্বরা। ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন,বাংলাজুড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরিতে একটা ইতিহাস তৈরি হল। যার মধ্যে বারাসত সংসদীয় এলাকায় ১১৮ টি রাস্তা রয়েছে।এই ১২ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে নতুন রাস্তাও রয়েছে যেমন,ঠিক তেমনই রাস্তা সংস্কারও রয়েছে।রাস্তা হচ্ছে সংযোগকারী মাধ্যম। রাস্তা দিয়ে যেমন অ্যাম্বুলেন্সও যায় তেমনই ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট করতেও রাস্তার প্রয়োজন। রাস্তার উন্নয়ন হলে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটে। গোটা দেশের আর কোন মুখ্যমন্ত্রী রাস্তার উন্নয়ন নিয়ে এভাবে ভাবেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি কে ওয়াশিং মেশিন পার্টি বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এদিন কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। সিবিআই ইডির মতো এজেন্সি দিয়ে পার্টির নেতাদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। আসলে ওদের পায়ের তলার মাটি নেই। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে দেশ থেকে তাড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।

এদিনের সাংবাদিক বৈঠক রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, বারাসাত সাংগঠনিক জেলায় প্রায় ১১৮টি রাস্তা হয়েছে। এছাড়াও আরও অনেকগুলি রাস্তা পাইপলাইন রয়েছে যেগুলি হবে। যেহেতু নারেগা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করেছে, তাই ওই প্রকল্পের আওতায় যে সমস্ত শ্রমিকরা কাজ করতেন তারাও কাজ পাবেন।

এদিন একইসঙ্গে বিজেপিকেও তুলোধনা করেন তিনি। তার কথায় গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর ওপর আঘাত হানছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের মনে রাখার দরকার যে ক্ষমতার দম্ভে তারা এই ধরনের কাজগুলি করছেন। আর গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর ওপর বিজেপির এই আঘাত করার প্রবণতার জন্যই ধর্নায় বসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এদিন খাদ্যমন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও।