প্রাথমিক সহ একাধিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দিয়েছে হাইকোর্ট (High Court)। এবার সেই দুর্নীতির তদন্তেই বড় নির্দেশিকা দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বুধবার মানিক ভট্টাচার্য এবং পর্ষদের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ইডি- সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ জারি করেছে শীর্ষ আদালত। এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে বিচারপতি দিনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার ক্ষেত্রেই এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্য বনাম টিনা মন্ডল মামলার শুনানি ছিল বুধবার। চলতি মাসের ২ তারিখ এই মামলায় ইডি- সিবিআই তদন্তের নির্দেশ জারি করেছিল হাইকোর্ট।
পর্ষদের তরফে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে কেন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারই তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছিল ওই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। বুধবার সেই মামলা সংক্রান্ত শুনানিতে এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে দেশের শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, শুধু এই মামলাতেই নয় নবম এবং দশম শ্রেণীর নিয়োগে ৫০০ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। কিভাবে এই শিক্ষকদের চাকরি গেল সেই প্রশ্ন তুলেই এদিন সিবিআইকে নোটিশ ধরিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলায় হাইকোর্টের রায়ে ক্রমশ ব্যাক ফুটে যেতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের শাসকদলকে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক যুগান্তকারী রায়ে বহু চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। এখনো বহু মামলা চলছে। সেই সমস্ত মামলার তদন্তে রয়েছে ইডি-সিবিআই। কাজেই একটি মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের তরফে জারি হলেও তাতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও এখনই পুরোপুরি রেহাই যে মিলছে না তা স্পষ্ট।