নেপালের (Nepal) রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন রাম চন্দ্র পাউডেল।নেপালের কাঠমান্ডুর প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে শপথ নিয়েছেন তিনি।এদিন তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান নেপালের কার্যকরী চিফ জাস্টিস।শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি তার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করবেন বলে জানিয়েছেন।এদিন তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান নেপালের কার্যকরী চিফ জাস্টিস

 

নেপালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বৃহষ্পতিবার নির্বাচিত হন রামচন্দ্র পোড়েল।নেপালের নির্বাচন কমিশন অনুযায়ী পোড়েল পেয়েছেন ৩৩,৮০২ টি ভোট এবং তার প্রতিদ্বন্দী সুভাষ চন্দ্র নেমবায়াং পেয়েছেন ১৫,৫১৮ টি ভোট।এবার তার শাসনকালে নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিরকম হয় তাই এখন দেখার।

নেপালের পুরোনো রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেস পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা পাউদেল। ক্ষমতাসীন জোটের বাইরে গত মাসে তাকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল। পাউদেলকে সমর্থন দেওয়ার পর প্রচণ্ডের জোটের মধ্যে তিক্ততা শুরু হয়। পাউদেলের বিপরীতে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন প্রচণ্ডের জোটের প্রধান শরিক দল কমিউনিস্ট ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্টের (ইউএমএল) সুবাস চন্দ্র নেমওয়াং। তাকে সমর্থন না দিয়ে পাউদেলকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেওয়ায় দলের মধ্যে সংকট তৈরি হয়।

এমনকি প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে ইউএমএল। এর জেরে চলতি মাসে তাকে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের নেতারা বলছেন, দলটির চেয়ারম্যান সাবেক মাওবাদী প্রধান প্রচণ্ড আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নেপালি কংগ্রেস পার্টি ও অন্য ছোট দলগুলোর সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক জোট গড়তে পারেন।

জোটের বাইরে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মনোনয়ন দিয়ে শরিক দলের মধ্যে ভাঙনের পাশাপাশি আরেকটি সংকটে রয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড। ২০০৬ সালে শেষ হওয়া দেশটির এক দশকের গৃহযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ওই গৃহযুদ্ধে হাজারো মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় তদন্ত এবং প্রচণ্ডকে গ্রেপ্তারের এক আবেদনের ওপর শুনানি করবে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট।

 

আরো পড়ুন:Meeting: দিল্লীতে বিজেপি-বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক, থাকছেন মমতাও