বর্তমানে চারদিকে ভোটের আবহাওয়া ভাসছে যেনো।এরমধ্যে বৃহস্পতিবার সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনের ফলপ্রকাশ নিয়ে সব দলের মধ্যেই কম বেশি চিন্তা বিদ্যমান ছিল।তবে সেই গণনার মাঝে ফের ভবিষ্যতবাণী করে ফেললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।এদিন নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন তিনি।

সেখানে সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে দিলীপ বাবু বলেন,-“সারা ভারতবর্ষে যেমন হচ্ছে তেমনই হচ্ছে এখানেও।বিজেপি এগিয়ে আছে সব দিক দিয়ে।সেই জন্য বাকিদের আর উত্‍সব করার সুযোগ থাকবে না।কেউ কেউ খাতা খোলার চেষ্টা করছেন।কিন্তু পরিস্থিতি যা মনে হচ্ছে, সম্ভব নয়।যদি খাতা খুলতে পারেন,তাহলেই সেটাকে জয় মনে করবেন ওঁরা, আর কী।”অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মেঘালয় যাচ্ছেন। সেই বিষয় নিয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন,-”ওখানে হোটেল বুক করা আছে টিকিট আগে থেকে কেনা আছে, যেতেই হবে। কিন্তু চেষ্টা করছে ওরা সারা ভারতবর্ষে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাফল্য আসেনি। জানি না এমনকী যারা এসেছিলেন ওনাদের সঙ্গে মেঘালয়ে, তারাও চলে গেছেন।”

মুখ্যমন্ত্রীর বাবুঘাটে গঙ্গারতি করা নিয়ে তিনি বলেন,-“তৃণমূল সব জিনিস দেরিতে বোঝে, তাদের নেতারাও আর মুখ্যমন্ত্রীও তাই। ওরা ঠেকে শেখে। ওরা ঠেকে শিখছেন। এখানে যদি হাজার হাজার লোক জড়ো হয়ে যায় গঙ্গা আরতি দেখতে বা করতে, তাকে বাধা দিয়েছেন, এখন প্রায়শ্চিত্ত করছেন। যাই হোক, ভালো কাজ দেরিতে হলেও হওয়া উচিত। টিএমসি পার্টির যা অবস্থা, বুড়িগঙ্গারও তাই অবস্থা। সেই জন্য আলাদা কিছু হবে না।”

পাশাপাশি আইনজীবীর বাড়িতে ইডির হানা দেওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন,-”অনেকগুলো ঘুঘুর বাসা আছে যেখান থেকে সমস্ত অপারেট হচ্ছে, পোস্টিং হচ্ছে টাকা নেওয়া হচ্ছে। যত অনৈতিক কাজ চলছে ,এরকম কিছু কিছু তার কেন্দ্র আছে, সিবিআই ধীরে ধীরে ওখানে পৌঁছচ্ছে। তাদের সন্দেহ হয়েছে তারা হানা দিয়েছেন নিশ্চয়ই তথ্য প্রমাণ হাতে আছে। টাকা সব জায়গায় আছে যেখানে হানা দেবে সেখানেই টাকা। লক্ষ্য নয় কোটি কোটি টাকা পড়ে আছে বহু জায়গায় সেসব বেরোবে যেমন- যেমন সর্ষের কাছে পৌঁছাচ্ছেনসেরকম বেরোচ্ছে।টাকা লুকানোর ব্যবস্থা নেই এখন টাকা গাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে,টাকা গাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে রাস্তায় পাওয়া যাচ্ছে। প্রচুর টাকা আছে। আর সেই টাকা বেরোবে আর গরিব লোকের টাকা সব।”

 

আরো পড়ুন:Tripura : নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ট্যুইট মোদীর !”ধন্যবাদ ত্রিপুরা”