নিয়োগে দুর্নীতিতে কাঠগড়ায় স্কুল সার্ভিস কমিশন।হাই কোর্টে চলছে একাধিক মামলা।চলছে তদন্ত।সেই আবহেই শুক্রবার প্রকাশিত হলো ২০২২ সালের টেটের ফল।পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল (Gautam Pal) এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন।
তিনি জানান,-“১১ ডিসেম্বর টেট হয়েছিল।২ মাসের মধ্যে টেটের ফল ঘোষণা করা হল।রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন।ডিসেম্বরের ১১ তারিখে পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৬ লক্ষ ২০ হাজার জন।পাশ করেছেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন।শতাংশের নিরিখে ২৪.৩১।মহিলা পাশ করেছেন ৬৯ হাজার ৪০৮ জন।৪৬.১২১ শতাংশ।পুরুষ পাশ করেছেন ৮১ হাজার ৭৭ জন।৫৩.৮৭ শতাংশ।অন্যান্য পাশ করেছেন ৬ জন।১ থেকে ১০ এর মধ্যে ১৭৭ জন রয়েছেন।”
স্কুটিনির জন্যে সামান্য সময় রাখা হয়েছে তার পর সার্টিফিকেট দেওয়া হবে বলে জানান পর্ষদ সভাপতি।এর সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,-স্বচ্ছতার সঙ্গে ফলপ্রকাশই পর্ষদের প্রথম দায়িত্ব।তার জন্য সমস্তরকম ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।গৌতম পালের কথায়,”আজ এই ফলপ্রকাশের মুহূর্ত পর্যন্ত পর্ষদের কাছে ওএমআর কপি সুরক্ষিত।একেবারে স্বচ্ছতার সঙ্গে এটা আমরা দেখেছি।তারপর ফল প্রকাশ করছি।এর আগে আমরা অ্যানসার কি-ও আপলোড করি।এক সপ্তাহ সময় দিই।প্রার্থীদের বলেছিলাম, উত্তর নিয়ে কারও কোনও আপত্তি থাকলে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন। তারজন্য অনলাইন চ্যালেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমও কাজ করেছে। সাবজেক্ট এক্সপার্টদের দিয়ে থ্রি টিয়ার ফিল্টারিং হয়েছে। তারপরও সেকেন্ড ওপিনিয়ন নিয়েছি আমরা।”
পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, বুকলেট কোড ফোর ডি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আমরা এক্সপার্ট ওপিনিয়ন নিই। ইংরাজি প্রশ্নে কোনও ত্রুটি ছিল না, কিন্তু বাংলা ভার্সনে অপশন সঠিকভাবে প্রিন্ট হয়নি। টেকনিক্যাল বা প্রিন্টিং এররের জন্য এটা হয়েছে। অভিযোগ, প্রশ্নপত্রের একটি সেটে ১০৪ নম্বর প্রশ্ন নিয়ে কিছু ত্রুটির অভিযোগ এসেছিল। ইংরেজিতে প্রশ্ন ও অপশন দুই-ই ঠিক। কিন্তু বাংলাতে প্রশ্ন ঠিক থাকলেও উত্তরের জন্য যে চারটি অপশন মার্ক অর্থাত্ এ, বি, সি, ডি থাকে, তাতে এ, সি, এ, সি হয়েছে।পর্ষদ সভাপতির কথায়,-টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে শুধুমাত্র ০৪ ডি প্রশ্নপত্র যাদের ছিল, তাঁদের নম্বর দেওয়া ঠিক হতো না। তাই সকলকেই নম্বর দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এরকমই চারটি প্রশ্নপত্রের ভুল থাকায় মোট চার নম্বর করে পাবেন সমস্ত পরীক্ষার্থী।এছাড়াও এদিন ফল ঘোষণার পর গৌতম পাল আরো জানান,-চলতি বছরের শেষে আরও একটি টেট পরীক্ষা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।বছরে ২ টি করে টেট পরীক্ষা হোক।এমন ইচ্ছে প্রকাশ করতেও দেখা যায় পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালকে।
আরো পড়ুন:Bratya Basu:লখিন্দরের বাসরঘরের মতো ত্রুটি সামলে পরীক্ষা নিয়েছে পর্ষদ সভাপতি:শিক্ষামন্ত্রী