জেলায় জেলায় চলছে ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) কর্মসূচি।আর এই কর্মসূচিতে বেরিয়ে একাধিক স্থানেই ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল নেতা, বিধায়কদের।এবার ফেসবুকে এই গোটা ঘটনাকে কটাক্ষ করে কবিতা পোস্ট করলেন বিজেপি নেতা ও অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।
মূলত,সোশ্যাল মিডিয়ায় প্যারোডি ভিডিও বানাতে রুদ্রনীলের জুড়ি মেলা ভার।বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে প্যারোডি বাঁধতে দেখা যায় তাঁকে।দিদির দূত নিয়ে জেলায় জেলায় যে কাণ্ড কারখানা চলছে তা দেখে কটাক্ষ করার লোভ সামলাতে পারেনি রুদ্রনীল।প্যারোডির ছত্রে ছত্রে খোঁচা মেরেছেন রাজ্যের শাসক দলকে।
মঙ্গলবার রুদ্রনীল ঘোষ পুনরায় নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় ( Social Media) একটি কবিতা পোস্ট করেন।’দুয়ারে ভূত’ শীর্ষক রুদ্রনীলের এই কবিতায় (Poetry) প্রথমেই উঠে আসে একদল ভূতেদের কথা। তিনি বলেন, ‘ ভূত মানে হল ঘাড়টা মটকে রক্তটা চুষে খাবে,যতই তাকে ভাত বেড়ে দাও থালা ফেলে উঠে যাবে’।এছাড়াও তাঁর কবিতায় শুনতে পাওয়া যায়, ‘ নেতা ভূত আর চেলা ভূত মিলে দুয়ারেতে সব জড়ো, গ্রামবাসী তাই দুশ্চিন্তায় আজ বড় জড়সড়। জব কার্ড বা আবাসের টাকা কিংবা দেবে কি রাস্তা ? একুশের ভোটে দিয়েছিল ভূতে প্রতিশ্রুতির বস্তা’ এই ধরনের লাইন।
সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পুনরায় একটি নতুন কর্মসূচি ‘দিদির সুরক্ষা কবচের’ সূচনা করা হয়েছে।এই কর্মসূচির অধীনে দিদির দূতেরা পৌঁছে যাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন জেলার মানুষদের দুয়ারে দুয়ারে।দিদির দূতেদের কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কখনও গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন নেতারা আবার কখনও তৃণমূল সাংসদের ভাতের থালা সামনে রেখে উঠে পড়ার ভিডিওকে কেন্দ্র করে হাজারও প্রশ্ন উঠেছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, রুদ্রনীলের কবিতাতেও উঠে এসেছে রাজ্যে ঘটে চলা এই সকল ঘটনারই টুকরো টুকরো ইঙ্গিত।
‘তবু কেউ ভাবে এবার সে পাবে ভূতের রানির বর, মুখ ফুটে তাঁরা প্রাপ্য চাইতে জুটেছে সপাটে চড় কিংবা কিছু আছে জেলে কিছু আছে বেলে কিছু তো অকুতোভয়,মটকাতে ঘাড় অপেক্ষা করে কখন সন্ধ্যা হয়’ এইরকম বেশ কিছু লাইন রুন্দ্রনীল ঘোষের নতুন কবিতায় শোনা গিয়েছে।কবিতা শেষে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে রুদ্রনীলের পরামর্শ,-‘মনের ভুলে ছিটকিনি খুলে যেও নাকো দরজায়।’যদিও এই কবিতা কাদেরকে উদ্দেশ্য করে কিংবা কোন ঘটনাগুলিকে ইঙ্গিত করছে সেই সম্বন্ধে স্পষ্ট ভাবে কিছুই জানাননি রুদ্রনীল।