বিজেপি নেতা মিঠুনের সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ দেব অভিনয় করায় ‘প্রজাপতি’ সিনেমার জায়গা হল না কলকাতার সরকারি সিনেমা হল নন্দনে।আর যা নিয়ে সোজা কাঠগোড়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন,”ভোটে দাঁড়াতে চায়নি তবুও দেবকে জোর করে ভোটে দাঁড় করানো হয়েছিল ব্য়বসা বন্ধ করার ভয় দেখিয়ে।সিনেমা করতে গেলেও তৃণমূল করতে হবে, তা না হলে সিনেমা হলে জায়গা দেওয়া হবে না।”

নন্দনে ‘প্রজাপতি’-র জায়গা না-হওয়া প্রসঙ্গে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকেও আক্রমণ করতে শোনা গেল দিলীপ ঘোষকে।বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি বলেন,”এত ছোট মন কেন আপনার?”

অন্যদিকে, এদিন ‘প্রজাপতি’ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি জানান , “নন্দনে শো না পাওয়ার বিষয়টির কারণ হল যে, নন্দনে ছবি দেখানোর বুকিং হয়। আগে থেকে সেই বুকিং সেরে রাখতে হয় সংশ্লিষ্ট ছবির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যাঁরা, তাঁদের। এই বুকিংয়ের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে নেই। হতে পারে ‘প্রজাপতি’ ছবির জন্য আঘে চিঠি দেওয়া হয়নি। অন্য কেউ আগে চিঠি দিয়েছেন। তাই মিঠুন চক্রবর্তী রয়েছেন বলে প্রজাপতি শো পেল না , তা সত্য নয়। কারণ ওই ছবিতে দেবও রয়েছেন।”

এরইমধ্যে প্রজাপতি নিয়ে চলতে থাকা এই বিতর্কে এবার মুখ খুললেন অভিনেতা এবং তৃণমূল সাংসদ দেব।দেব বলেন, ‘অভিনয় করে আমি রাজনীতিতে এসেছি। আমি দেব হয়েছি সিনেমার জন্য। রাজনীতি করে আমি দেব হইনি। আমার কাছে দুটো জগত্‍ আলাদা। সত্‍ ভাবে দুটো জগতেই কাজ করার চেষ্টা করেছি। কেউ বলতে পারবে না যে আমার রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে আমি কাউকে কাজ থেকে বঞ্চিত করেছি বা ছবিতে নিইনি। আমার কাছে প্রথম থেকে শেষ সিনেমাই, এটাই আমার প্রথম ভালবাসা।’

নন্দনে প্রজাপতি মুক্তি পাওয়া নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন দেব। তাঁর দাবি, ‘নন্দনে প্রজাপতি মুক্তি পায়নি বলে আমার কোনও দুঃখ নেই। আমার শুধু মনে হয়, নন্দনে যে টাকায় সিনেমা দেখা যায় তাতে মধ্য়বিত্ত মানুষের পকেটে চাপ পড়ে না।’ তৃণমূল সাংসদের আরও সংযোজন, ‘এর পরেও যদি আমার কাছে কোনও স্ক্রিপ্ট আসে যেখানে মিঠুন চক্রবর্তীকে লাগবে, আমি মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়েই আবার কাজ করব।’

 

আরো পড়ুন:Tunisha Sharma : আত্মহত্যা করলেন অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা গ্রেফতার সহ অভিনেতা!