এ যেনো সাক্ষাৎ সিনেমার গল্প।সিবিআই (CBI) সেজে চললো ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি।এমনি চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভবানীপুরে।আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রে ভুয়ো সিবিআই অফিসারের এমন দাপট দেখে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।

জানা গিয়েছে,ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে থেকে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা এবং বেশ কয়েক লক্ষ টাকার গয়না লুঠ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।ভবানীপুর থানার সঙ্গে তদন্তে নেমেছে লালবাজার।দিনেদুপুরে বিনা বাধায় লুঠপাট করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা।সিবিআই অফিসার সেজে বাড়িতে হানা দিচ্ছে প্রতারকরা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে ১/৬ রূপচাঁদ মুর্খাজি লেনের আবাসনে আসে ওই প্রতারকরা।ভবানীপুর থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে ওই বাড়িতে থাকেন এই সিন্ধি পরিবার।গৃহকর্তা সুরেশ ওয়াধা পেশায় ব্যবসায়ী।খাবার এবং কেমিক্যালের ব্যবসা আছে তাঁর।পাড়ায় সেভাবে মেলামেশা করেন না।এমনকী, বাড়ির দরজাও সর্বক্ষণ বন্ধ থাকে।পরিচিত কেউ না এলে দরজা খোলাও হয় না।বাড়ির নিচে থাকেন একজন বয়ষ্ক কেয়ারটেকার।এই ঘটনার পর যখন ব্যবসায়ী বুঝতে পারেন,তিনি প্রতারিত হয়েছেন তখন ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ব্যবসায়ীর অভিযোগ,ওই ব্যক্তিরা ব্যবসায়ীকে জানায়, তাঁরা নিজেদের সঙ্গে পুলিশ নিয়ে এসেছে। তাই স্বভাবতই সন্দেহ হয়নি ব্যবসায়ীর।তল্লাশি চলছে বলায় বাড়ির কেউ কোনও পদক্ষেপ করেনি। এরপরে আলমারির তালা খুলতে বলা হয়।এমনকী ভুয়ো আধিকারিকরা হুমকি দেয়, তালা না-খুললে তারাই তালা ভেঙে দেবে।ফলে চাবি দিয়ে আলমারি খুলে দেওয়া হয়।এরপরেই তারা আলমারি থেকে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে তোলে।পরে নিজেরাও গাড়িতে উঠে চলে যায়।

বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও তারা পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করে।তাই কারও মনে সন্দেহ জাগেনি।ঘটনাটি ঘটনার প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা পর ওই ব্যবসায়ীর মনে হয়েছে বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি করল,অথচ কেউ কিছু জানল না। টিভিতেও এ নিয়ে কোনও সংবাদ দেখাল না। পাশাপাশি সিজার লিস্ট দেওয়া হল না।অথচ সিজার হল।সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ব্যবসায়ী।গোটা ঘটনায় তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

 

আরো পড়ুন:Raja Pateriya:’আপনারা চাইলে মোদীকে হত্যা করতে পারেন’ মন্তব্য করে বিপাকে কংগ্রেস নেতা